চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় গঠিত হল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টীম, যে টিমের মাথায় রয়েছেন তিনজন মহিলা পুলিশ অফিসার।
ভিডিও কান্ডের তদন্তে নেমে এবারে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও তৈরি এবং নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনজন। একজন ছাত্রী ওই ছাত্রী ২৩ বছরের বয়সী প্রেমিক এবং ৩১ বছর বয়সী অন্য একজন যুবক গ্রেফতার হয়েছেন।
ভিডিও কাণ্ডে জড়িয়ে থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ ওয়ার্ডেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। হোস্টেলের সমস্ত ওয়ার্ডেনদের বদলি করা হচ্ছে এবং হোস্টেলের সময়সূচী পরিবর্তন করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল, ছাত্রীদের হোস্টেলের একজন আবাসিক অন্যান্য আবাসিকদের আপত্তিকর ভিডিও রেকর্ড করে তা অন্যদের শেয়ার করেছেন। ওই ছাত্রী কমপক্ষে ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দী করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মহিলা পুলিশদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পাঞ্জাব সরকার। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান এই ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন। চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সকল অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের লাগাতার প্রতিবাদ চলছে। রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ কর্তৃপক্ষ সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ায় পড়ুয়ারা আপাতত বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই সংক্রান্ত কেবলমাত্র একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশও একই কথা জানিয়েছে।