চীন ও ভারতসহ কয়েকটি দেশের অংশগ্রহণে রাশিয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। ভারত-চীন ছাড়াও বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান, সিরিয়া, লাওস ও নিকারাগুয়ার মতো দেশগুলো অংশ নিয়েছে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
‘ভোস্তক ২০২২’ শীর্ষক এই মহড়ার আয়োজন করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যৌথ এই মহড়ায় অর্ধলক্ষাধিক সেনাসদস্য অংশ নেবে। এ ছাড়া দেড় শতাধিক যুদ্ধবিমান, ৬০টি যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে রাশিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত এই মহড়ায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বেইজিং বলছে, যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে তারা রাশিয়ায় ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠাচ্ছে।
আরও বলা হয়েছে, এই মহড়ার উদ্দেশ্য হল অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সেনাবাহিনীর সাথে ব্যবহারিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতাকে গভীর করা এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলা করার ক্ষমতা জোরদার করা। তবে বেইজিং বলছে, এই যৌথ মহড়ায় চীনের অংশগ্রহণের সঙ্গে বর্তমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই।
পূর্ব লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই ভারতীয় সামরিক বাহিনীও এতে যোগ দিচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে দিল্লি।
বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার একটি বহর মহড়াস্থলে পৌঁছেছে এবং আগামী ৭ দিন ধরে তারা মাঠ পর্যায়ে যৌথ প্রশিক্ষণের অনুশীলন, যুদ্ধ আলোচনা ও গোলা ছোড়ার অনুশীলনসহ নানান পর্বে অংশ নেবে।
আসন্ন এই যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই মহড়া আয়োজন এবং ভারত-চীনের অংশগ্রহণ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টিকে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
উল্লেখ্য, চীন এবং ভারতের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে চলোমান যুদ্ধে রাশিয়াকে কূটনৈতিক সহযোগীতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং কিয়েভের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করেছে দুই দেশ। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ায় এই দুই দেশের অংশগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগকে বাড়িয়ে দিয়েছে। ছবিঃ সংগৃহীত।