Johnson & Johnson: জনসন অ্যান্ড জনসন, ট্যালকম বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

আগামী বছর থেকে সারা বিশ্বে ট্যালক-নির্ভর পাউডার উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের ঘোষণা করেছেন মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন (জেঅ্যান্ডজে)। সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় ২ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ট্যালক-নির্ভর পাউডার বিক্রি বন্ধ করেছিল জেঅ্যান্ডজে।

শুক্রবার(১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিট্রিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

 বিবৃতিতে জেঅ্যান্ডজে কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে ট্যালকম পাউডার বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরপর থেকে শতভাগ কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

আরও পড়ুন -  Kiev: দুই-তৃতীয়াংশ রুশ সেনা সরানো হয়েছে কিয়েভের পাশ থেকে

 আগে জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস নামে একধরনের খনিজ সিলিকেট রয়েছে, যা নারীদের ডিম্বাশয়ে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এমন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩৮ হাজার মামলা দায়ের হয়। জেঅ্যান্ডজে সেই অভিযোগ বরাবই অস্বীকার করেছে, বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতেও কোম্পানি তার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রক অনুমোদনগুলো তাদের ট্যালকমকে নিরাপদ ও অ্যাসবেস্টস-মুক্ত বলে প্রমাণ করেছে।

আরও পড়ুন -  Without Makeup: মেকআপ না করে ন্যাচারাল লুক !

মামলা থেকে মুক্তি পেতে গত বছরের অক্টোবরে জেঅ্যান্ডজে এলটিএল ম্যানেজমেন্ট নামে একটি অঙ্গসংস্থা চালু করে ট্যালকম সংক্রান্ত বিষয়গুলোর দায়ভার সেটির ওপর অর্পণ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংস্থাটিকে দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন করে। ঝুলে থাকা মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

আরও পড়ুন -  বিদুৎ গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, করোনার পঞ্চম ঢেউ

 দেউলিয়াত্বের আবেদনের আগে মামলার নিষ্পত্তি ও সমঝোতায় জেঅ্যান্ডজের অন্তত ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। এ মধ্যে আদালতের নির্দেশে ভুক্তভোগী ২২ নারীকে ২০০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।