খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের ‘ই-সঞ্জীবনী’ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২ লক্ষ টেলি-পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন গত ৯ আগস্ট এই টেলি-পরিষেবায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার পরামর্শদানের সাফল্য অর্জনের প্রেক্ষিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করার পর কেবল ১০ দিনের মধ্যেই ২ লক্ষ টেলি-পরিষেবা প্রদানের মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ‘ই-সঞ্জীবনী’ প্ল্যাটফর্ম অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি, চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রাপকরা খুব সহজে বিভিন্ন পরামর্শ পাচ্ছেন। কোভিড-১৯-এর সময় জটিল পরিস্থিতিতে এই প্ল্যাটফর্ম স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
‘ই-সঞ্জীবনী’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দু’ধরনের টেলি-মেডিসিন পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের সঙ্গে চিকিৎসকের চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের বিষয়টি ‘ই-সঞ্জীবনী’ ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হয় এবং রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শকে ই-সঞ্জীবনী ওপিডি পরিষেবা বলা হয়। চিকিৎসকদের সঙ্গে চিকিৎসকদের টেলি-কনসালটেশনের বিষয়টি আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কর্মসূচির আওতায় রূপায়িত হচ্ছে। ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসকদের সঙ্গে চিকিৎসকদের এ ধরনের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উদ্দেশ্য হল ১ লক্ষ ৫০ হাজার স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলির মধ্যে ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ মডেল গড়ে তোলা। রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই যে সমস্ত মেডিকেল কলেজে এ ধরনের ‘হাব’ গড়ে তুলেছে সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসকদের সঙ্গে টেলি-পরিষেবার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গত এপ্রিল মাসে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের টেলি-পরিষেবা প্রদানের সুবিধা দিতে ই-সঞ্জীবনী ওপিডি ব্যবস্থা চালু করে। এই ব্যবস্থা কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একইসঙ্গে, কোভিড বহির্ভূত অত্যবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাও সত্বর পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ২৩টি রাজ্যে ‘ই-সঞ্জীবনী’ টেলি-কনসালটেশন রূপায়িত হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলিতে রূপায়ণের প্রক্রিয়া চলছে।
‘ই-সঞ্জীবনী’র কনসালটেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অগ্রণী যে পাঁচটি রাজ্য স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করছে তার মধ্যে তামিলনাড়ু প্রথম স্থানে, উত্তরপ্রদেশ দ্বিতীয় স্থানে, অন্ধ্রপ্রদেশ তৃতীয় স্থানে, হিমাচল প্রদেশ চতুর্থ স্থানে এবং কেরল পঞ্চম স্থানে রয়েছে। স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্র মেডিকেল কলেজগুলির মধ্যে চিকিৎসকদের সঙ্গে চিকিৎসকদের টেলি-কনসালটেশনের দিক থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ প্রথম স্থানে এবং ওপিডি পরিষেবা প্রদানের দিক থেকে তামিলনাড়ু সবার ওপরে রয়েছে। সূত্র – পিআইবি।