Ukrainian Cities: ইউক্রেনীয় শহরগুলো ফিরিয়ে আনা হবে, রুশ দখলে যাওয়া

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া ইউক্রেনীয় শহরগুলো জয় করে আবারও ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

শনিবার গভীর রাতে দেয়া ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫টি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট আঘাত হেনেছে। রুশ এই হামলাকে তিনি তার জনগণের মনোবল ভাঙ্গার জন্য নিষ্ঠুর কিন্তু ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

 বর্তমান সময়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া বা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে উঠছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন -  Ukraine: ক্ষুব্ধ ইউক্রেন, রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হওয়ায়

তিনি দাবি করেন, সেভেরোদোনেতস্ক, দোনেতস্ক, লুহানস্ক-সহ, আমাদের সকল শহরকে আমরা ফিরিয়ে আনবো।

প্রসঙ্গত, শনিবার ইউক্রেনের লুহানস্কের সেভেরোদোনেতস্ক শহরের দখল নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এর মাধ্যমে পুরো লুহানস্ক অঞ্চলটি রাশিয়ার দখলে চলে এলো। অবশ্য একইদিন দেয়া ওই ভাষণে জেলেনস্কি রুশ নিয়ন্ত্রণ থেকে ভূখণ্ড ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারও করেছেন।

রয়টার্স বলছে, কয়েক সপ্তাহের নৃশংস লড়াইয়ের পর শনিবার দিনের শুরুতেই মস্কোর বাহিনীর কাছে পতন হয় সেভেরোদোনেতস্ক শহরের। এদিন রাতে দেওয়া ভাষণেই প্রথমবারের মতো সেভেরোদোনেতস্ক নামটি উল্লেখ করেন জেলেনস্কি।

আরও পড়ুন -  Football Legend: নিতে হবে কেমোথেরাপি, ছাড়া পেয়েছেন ফুটবল কিংবদন্তি পেলে

 চার মাস পার হওয়ার পর এসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের এই পর্যায়ে এটি আধ্যাত্মিকভাবে কঠিন, মানসিকভাবে কঠিন,  এই যুদ্ধ আর কতদিন চলবে, বিজয় অর্জন করার আগে আমাদের আরও কত আঘাত, ক্ষতি এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই।’

আরও পড়ুন -  Kiev: বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ ইউক্রেনীয়ঃ ভলোদিমির জেলেনস্কি

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের ওপর ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এটিই প্রমাণ করে যে, কিয়েভকে সাহায্য করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো যথেষ্ট নয়। এছাড়া ইউক্রেনের আরও অস্ত্রের প্রয়োজন বলেও দাবি তার।

জেলেনস্কির ভাষায়, আমাদের মিত্রদেশ ও অংশীদারদের হাতে থাকা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন স্টোরেজের মধ্যে রাখা উচিত নয়, এমনকি প্রশিক্ষণের কাজেও এখন এগুলোকে ব্যবহার করা উচিত নয়। এগুলো এখন ইউক্রেনের প্রয়োজন।