প্রবলবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যায় উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, বার্তাসংস্থা পিটিআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যটির ৪৭ লাখেরও বেশি মানুষের।বড় বড় সকল নদীর জল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে, আরও অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির।
পরিস্থিতি বিবেচনায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ফোন করেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গত এক সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। প্রবলবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট এই বন্যা এতোটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে এর প্রভাব আসামের ৩৬টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলার ৪৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের ওপর পড়েছে।
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) জারি করা একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আসামে আরও ১১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নতুন এই প্রাণহানির ফলে চলতি বছর বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮২ জনে।
পিটিআই বলছে, দাররাং-এ নতুন করে তিনজনের প্রাণহানির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া জলাবদ্ধ মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা করতে গিয়ে ভেসে যাওয়া পুলিশ সদস্য-সহ নগাঁওতে দু’জন এবং কাছাড়, ডিব্রুগড়, হাইলাকান্দি, হোজাই, কামরূপ ও লখিমপুরে একজন করে মারা গেছেন।
এছাড়া, সাতজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজদের মধ্যে উদালগুড়ি ও কামরুপে দু’জন করে এবং কাছাড়, দাররাং ও লখিমপুরে একজন করে রয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ।