খেলার সময় হঠাৎ পরিত্যক্ত কুয়োতে পড়ে যায় রাহুল শাহু নামে ১১ বছর বয়সী বাক্শক্তিহীন ও বধির এক শিশু। শিশুটি ৮০ ফুট গভীর কুয়োর যে অংশে সে আটকা পড়ে তাও ছিলো অন্তত ৬০ ফুট গভীর। শুক্রবার (১০ জুন) ঘটনাটি ঘটে ছত্তিশগড়ের জাঙ্গির-চম্পা জেলায়।
ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধারকর্মীরা যোগ দিলেও তাকে উদ্ধার করতে সময় লেগে যায় ১১০ ঘণ্টার মতো। উদ্ধার কাজ করেছেন ৫ শতাধিক উদ্ধারকর্মী, যোগ দিয়েছিলো সেনাবাহিনীও।
চাঞ্চল্যকর এ কর্মযজ্ঞের সফল সমাপ্তি হয়েছে মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতে ওই শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ২টা নাগাদ খেলার সময় কুয়োর মধ্যে পড়ে যায় রাহুল। তাকে উদ্ধারে একে একে জাতীয় দুর্যোগ উদ্ধারকারী দল, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ ৫ শতাধিক মানুষ যোগ দেয়।
উদ্ধার কাজের বিষয়ে বলা হয়, ওই শিশু যেখানে পড়েছিলো সেই কুয়ো থেকে পাশে আরও একটি ৭০ ফুট গর্ত খোঁড়া হয়। পাশাপাশি সেই গর্তের সঙ্গে ১৫ ফুটের একটি টানেল খুঁড়ে যোগ করে দেয়া হয়। অন্ধকার কুয়োর মধ্যে শিশুটি বেঁচে আছে কিনা তা শিশুটির শ্বাস নেয়া থেকে আঁচ করতে পারনে উদ্ধারকর্মীরা।
মঙ্গলবার রাতে ১১০ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধারের পর ১১টা ৫৬ মিনিটে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এক টুইট বার্তায় ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, সবার প্রার্থনা, নিরলস প্রচেষ্টা এবং একাগ্রতার কারণে, রাহুল শাহুকে নিরাপদে কুয়োর ভেতর থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি সে দ্রুতই এ ধকল কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে বিলাশপুর কালেক্টর জিতেন্দর শুকলা জানিয়েছেন, তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।