বিভিন্ন বয়সী নারীরা পড়াশোনা, চাকরি বা ব্যবসার সুবাদে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করছে। কেউ ইউনিভার্সিটিতে, কেউ অফিসে বা কেউ অন্য জরুরি প্রয়োজনে অথবা নিছক বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে। সবাইকেই প্রতিদিন গাড়ির যানজট আর মানুষের ভিড়ের সাথে যুদ্ধ করে ট্র্যাভেল করতে হয়।
পোশাক
পোশাক সিলেকশনের ক্ষেত্রে সবার আগে কমফোর্টকে প্রাধান্য দিতে হবে। খুব বেশি লম্বা ঝুলের পোশাক পড়লে অ্যাকসিডেন্ট করার ভয় থাকে। রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে যাবার রিস্কের কথা সবাই জানে, তবুও বেশিরভাগ সময়ই ওড়না গুছিয়ে রিকশায় বসার কথা অনেকের মনে থাকে না।
রাস্তায় নিজের বাইক বা স্কুটি চালানো মেয়ের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। বাইকে চলার সময় লম্বা ঝুলের পোশাক অ্যাভয়েড করা উচিত। বাইক রাইডারদের জন্য সাধারণত সিগারেট প্যান্ট, জিন্স বা গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট, কুর্তি, টপস, কামিজ ইত্যাদি পরা ভাল।
জুতো
এবার আসি জুতোর প্রসঙ্গে। ড্রেসের মত জুতোও জায়গা আর যানবাহন অনুযায়ী সিলেক্ট করতে হবে।বাইকে চলাচল করলে সবচেয়ে কমফোর্টেবল জুতো হবে- ‘সু’।
যেকোনো যানবাহনে সহজে ও দ্রুত ওঠানামা করার ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যালেরিনা সু, ফ্লিপফ্লপ স্যান্ডেল, ফ্ল্যাট স্যান্ডেল, সেমিহিল সু, স্নিকার, লোফার সু, ক্যানভাস সু ইত্যাদি পড়া সবচেয়ে কমফোর্টেবল।
হাঁটাহাঁটি যারা বেশি করেন তাদের জন্যেও এসব জুতো অনেক আরামদায়ক। কোনভাবেই হাইহিল পড়ে বাসে চলাফেরা করা উচিত না। স্পেশালি রাশ আওয়ারে বাসে ওঠার জন্য অনেক মানুষ ধাক্কাধাক্কি করে, তখন হিল পড়ে বাসে ওঠার চেষ্টা খুবই রিস্কি।
এক্সেসরিজ
ট্রাভেল করার জন্য শুধুমাত্র জামা-জুতো নয়, ব্যাগের ব্যাপারেও কিছু জিনিস লক্ষ্য রাখা দরকার। যেমন এই গ্রীষ্মে ট্র্যাভেলের সময় একটা ছাতা, জলের বোতল, সানগ্লাস, ছোট্ট সুন্দর হাতপাখা, বডি স্প্রে, টিস্যু, রুমাল ইত্যাদি রাখা খুবই দরকারি। এজন্য ছোট পার্স বা সাইড ব্যাগের চেয়ে একটু বড় বা মাঝারি সাইজের ব্যাগ ক্যারি করা উচিত।
অনেকেই লম্বা জার্নির সময় ফোনে গান শুনতে পছন্দ করে। ইয়ারফোন তাদের জন্য একটা মাস্ট আইটেম। এছাড়া অসম্ভব জরুরী কিছু জিনিস যা সব মেয়েদের ব্যাগেই থাকা উচিত তা হল অ্যান্টি-কাটার, সেফটিপিন, সুইস নাইফ, পেপার স্প্রে এগুলোর কোন একটি।