কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারতে একদিনে সর্বাধিক সংখ্যায় সুস্থতার হারে আরও একটি রেকর্ড; গত ২৪ ঘন্টায় আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৫৭,৩৮১; ৩২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থতার হার ৫০ শতাংশের বেশি; ভারতে একদিনেই সর্বাধিক ৮.৬ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা
একদিনে সর্বাধিক সংখ্যায় সুস্থতার হারে ক্রমাগত অগ্রগতির দরুণ দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থতার সংখ্যা এযাবৎ একদিনে সর্বাধিক হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৫৭,৩৮১ জন আরোগ্য লাভ করেছেন এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
সুস্থতার হার এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছনোর ফলে ভারতে করোনায় আরোগ্য লাভের হার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। দৈনিক অধিক সংখ্যায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। সুস্থতার হারে এই অগ্রগতি বজায় রেখে ৩২টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরোগ্য লাভের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছেন। এমনকি, ১২টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থতার হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। লাগাতার সুস্থতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং আরোগ্য লাভের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ায় দেশে করোনায় সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা আজ পর্যন্ত ১৮ লক্ষ ৮ হাজার ৯৩৬ হয়েছে। একইভাবে, সুস্থতা ও আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক আরও বেড়ে হয়েছে ১১ লক্ষ ৪০ হাজার ৭১৬। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি, রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সুসমন্বিত প্রয়াসের ফলেই দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে দেশে নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ২২০। আজ পর্যন্ত দেশে করোনায় যতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে এই সংখ্যা শতাংশের বিচারে ২৬.৪৫। গত ২৪ ঘন্টায় নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা, হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের নজরদারি, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া ও সেইসঙ্গে, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার কাজে যুক্ত চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে দেশে মৃত্যু হার ক্রমশ কমছে। বিশ্ব গড় মৃত্যু হারের তুলনায় ভারতে মৃত্যু হার আরও কমে হয়েছে ১.৯৪ শতাংশ।
ভারতে করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধ মোকাবিলায় গৃহীত ‘টেস্ট, ট্র্যাক ও ট্রিট’ কৌশল গ্রহণের ফলে গত ২৪ ঘন্টায় ৮ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৭৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ২ কোটি ৮৫ লক্ষের বেশি। এই কৌশল অবলম্বন করে দেশে নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৪৬৫টি। এর মধ্যে সরকারি নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ৯৬৮ ও বেসরকারি পরীক্ষাগারের সংখ্যা ৪৯৭।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1646037 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে কোভিডের বিরুদ্ধে দেশের অদম্য লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন; জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের কথা ঘোষণা করেছেন
বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি এবং এই সঙ্কট মোকাবিলায় ভারতের পর্যায়ক্রমিক তথা সক্রিয় প্রয়াস, যেগুলি ভারতকে আত্মনির্ভর করে তুলেছে – সেই সমস্ত কথা ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের কথাগুলিও তুলে ধরেন।
করোনা ভাইরাসের দরুণ যে সমস্ত ব্যক্তি প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, ভারতের করোনা সেনানীদের প্রশংসা জানানো প্রয়োজন। এঁরা সকলেই ‘সেবা পরম ধর্ম’ – এই মন্ত্রকে আত্মস্থ করে দৃষ্টান্তমূলক প্রয়াসের নজির রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পুনরায় আশ্বস্ত করে বলেন, “আমরা করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হব। অদম্য ইচ্ছাশক্তিই আমাদের জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে দেশবাসীর মানসিক চেতনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশে এখন পিপিই কিট, এন-৯৫ মাস্ক, ভেন্টিলেটর প্রভৃতি তৈরি হচ্ছে। এক সময় এই চিকিৎসা সামগ্রীগুলি দেশীয় পদ্ধতিতে উৎপাদনের ব্যবস্থা ছিল না। বিপুল সংখ্যায় গুণগত মানের এ ধরনের সামগ্রী উৎপাদনে ভারতের সক্ষমতা ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মতবাদকে প্রতিফলিত করে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1646049 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন -  Kaushani Mukherjee: কৌশানী সমুদ্র সৈকতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন !

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাকার থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1646044 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাকার থেকে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
“করোনার সময় আমাদের অনেক ভাই ও বোন মহামারীর দরুণ প্রভাবিত হয়েছেন; বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, অনেকে মারা গেছেন। আমি এরকম পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ১৩০ কোটি দেশবাসীর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও জেদ করোনার বিরুদ্ধে আমাদের জয় সুনিশ্চিত করবে এবং আমরা অবশ্যই জয়ী হব …..
করোনা মহামারীর সময় ১৩০ কোটি ভারতীয় আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার শপথ নিয়েছেন। আজ আত্মনির্ভরতার মূল মন্ত্রটি প্রত্যেক ভারতীয়র মনে প্রতিফলিত হচ্ছে ……
দেশে গত বছর প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮ শতাংশ বেড়েছে। এমনকি, করোনা মহামারীর সময় বিশ্বের অগ্রণী শিল্প সংস্থাগুলি ভারতের দিকে পা বাড়িয়েছে …..
আজ সঙ্কটের সময় দেশের মানুষ ও অর্থনীতিকে মহামারীর কবল থেকে বের করে নিয়ে আসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এই লক্ষ্যে জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইন প্রকল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে …..
করোনা সঙ্কটের সময় কোনও রকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। চলতি করোনা মহামারীর সময় আমরা কোটি কোটি দরিদ্র পরিবারকে নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়েছি। রেশন কার্ড-নির্বিশেষে আমার ৮০ কোটিরও বেশি দেশবাসীকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়েছে। প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে হস্তান্তরিত করা হয়েছে …..
আপনারা এটা অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে, ভারত সরকার করোনা মহামারীর সময় কৃষি পরিকাঠামো ক্ষেত্রের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে …..
করোনা মহামারীর সময় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা আমাদের বোনেদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে …..
এটা খুবই স্বাভাবিক যে, করোনা মহামারীর সময় স্বাস্থ্য ক্ষেত্র সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় আমরা পেয়েছি, স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় তথাপি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য পূরণে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে ……
প্রত্যেকের মধ্যেই এই কৌতূহল রয়েছে যে, কখন করোনা টিকা প্রস্তুত হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা ভাবা খুবই স্বাভাবিক। বিশ্বের সর্বত্রই প্রত্যেকের মনে এ ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে ……. আমি আমার দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, আমাদের বিজ্ঞানীরা টিকা উদ্ভাবনের ব্যাপারে পরীক্ষাগারগুলিতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। এরা প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে ৩টি টিকার গুণমান যাচাই বিভিন্ন স্তরে রয়েছে …….
নিঃসন্দেহে করোনা এক বড় বাধা, কিন্তু এই বাধা এত বড় নয় যে, আমাদেরকে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে”।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1646045 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন -  কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাকসন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ প্রদত্ত জাতির উদ্দেশে ভাষণের বাংলা রূপান্তর
নিজেদের সামর্থ্যের প্রতি আস্থা রেখে আমরা কোভিড- ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যান্য দেশের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি | অন্যান্য দেশের অনুরোধে ঔষধের ব্যবস্থা করে আমরা আরও একবার প্রমান করে দিয়েছি যে, ভারত সংকটের সময় গোটা বিশ্বের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় | আঞ্চলিক ও বিশ্ব পর্যায়ে মহামারী মোকাবিলায় র্যকর কৌশল তৈরীর ত্রে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে | জাতিসঙ্ঘ সুরক্ষা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যপদের জন্য সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া নির্বাচনে পাওয়া ব্যাপক সমর্থন ভারতের প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইতিবাচক ভাবনারই প্রমাণ ………
আমি এটা বিশ্বাস করি যে, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জীবন ও জীবিকা উভয়ের সুরক্ষায় মনযোগ দেওয়া জরুরি | আমরা চলতি সংকটকে সবার কল্যানে, বিশেষ করে কৃষক ও ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সংস্কার এনে অর্থব্যবস্থাতে পুনরায় গতি সঞ্চারের সুযোগ হিসেবে দেখছি | কৃষি ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক সংস্কার সাধিত হয়েছে | এখন কৃষক বিনা বাধায় দেশের যেকোন জায়গায় নিজের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করে তার সর্বাধিক মূল্য পেতে পারেন |কৃষকদের নিয়মের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত করার জন্য ‘জরুরি পণ্য সংক্রান্ত নিয়মে’ সংশোধনী আনা হয়েছে | এতে কৃষকদের আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুবিধা হবে|
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1645888 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও নেপালের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে টেলিফোনে কথা
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শ্রী কে পি শর্মা ওলি আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারত সরকার ও এ দেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতের সাম্প্রতিক নির্বাচনের জন্য শ্রী ওলি অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উভয় দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব হ্রাস করতে যে সমস্ত প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে দুই নেতাই পারস্পরিক সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। এই প্রেক্ষিতে নেপালকে সবরকম সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য ভারতের অঙ্গীকারের কথা শ্রী মোদী পুনরায় জানান।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1646051 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

• মহারাষ্ট্র : রাজ্যের সহযোগিতা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে রাজ্যের ৭ জন মন্ত্রী গত ৩ মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৩ হাজারেরও বেশি এবং নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার।

• গুজরাট : রাজ্যে শুক্রবার রেকর্ড ৫১ হাজারেরও বেশি কোভিড নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৭.৭২ শতাংশ। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজারেরও বেশি এবং নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ জন।

• ছত্তিশগড় : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড ১৩ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গতকাল আরও ৪৫১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

• অরুণাচল প্রদেশ : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫২ এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ জন।

• মণিপুর : রাজ্যে আরও ১৩০ জনের নতুন করে সংক্রমণের খবর মিলেছে। আরও একজনের মৃত্যুর খবর মেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত সারা রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -  কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

• মেঘালয় : ছোট ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোগীদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় ছোট ব্যবসার জন্য ৫০ হাজার টাকা, ঋণের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার এককালীন সহায়তা দেওয়া হবে। কর্মসূচির জন্য ১৫ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে।

• মিজোরাম : রাজ্যে আরও ৫৬ জনের সংক্রমণের খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭১৩ হয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৫।

• নাগাল্যান্ড : রাজ্যে গতকাল আরও ১৫৪ জনের সংক্রমণের খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৩২২ হয়েছে।

• পাঞ্জাব : রাজ্যে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত শহরে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশকালীন কার্ফিউ জারি করার কথা ঘোষণা করেছেন।

• হরিয়ানা : কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ বিভিন্ন সমস্যার কথা বিবেচনায় রেখে রাজ্য সরকার সমস্ত ধর্মীয় স্থানের বিদ্যুৎ মাশুল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎ মাশুল ছাড়ের এই সুবিধা গত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

• কেরল : রাজ্যে আজ আরও ৪ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩ হয়েছে। রাজধানী তিরুবনন্তপুরম এখনও সংক্রমণের অন্যতম কেন্দ্রস্থল। এদিকে রাজ্যে গতকাল এ যাবৎ একদিনেই সর্বাধিক ১ হাজার ৫৬৯ জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে। বর্তমানে ১৪ হাজার ৯৪ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে এবং প্রায় ২৭ হাজার রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।

• তামিলনাডু : কেন্দ্রশাসিত পন্ডিচেরীর মুখ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের সহযোগিতা সবচেয়ে জরুরি। এদিকে কোয়াম্বাটোর শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তামিলনাডুর রাজ্যপালের করোনা নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি। এদিকে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৭১৬ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫১৪ জনের।

• কর্ণাটক : কোভিড-১৯ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজ্য সরকার আরও ১০ লক্ষ র্যা পিড অ্যান্টিজেন ডিটেকশন কিট সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে গতকাল এক নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে, প্রকাশ্য স্থানে গণেশ মূর্তি বসিয়ে পুজো করা চলবে না। সাধারণ মানুষকে গণেশ চতুর্থী বাড়িতে থেকেই উদযাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্যপাল স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে প্লাজমা দান করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকরা ১৭ই অগাস্ট থেকে পরিষেবা বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

• তেলেঙ্গানা : স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা লক্ষ্য করছেন রাজ্যে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষের মৃত্যু ক্রমশ বাড়ছে। অবশ্য, এদের মৃত্যু পেছনে সময় মতো চিকিৎসা পরিষেবা না নেওয়ার বিষয়টি যুক্ত রয়েছে। এদিকে রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮৪ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৩৭৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৬ হাজার ১৯৬ জন। সূত্র – পিআইবি।