First Indian: আন্তর্জাতিক বুকার জিতলেন গীতাঞ্জলি শ্রী, প্রথম ভারতীয়

Published By: Khabar India Online | Published On:

প্রথম ভারতীয় লেখক হিসেবে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জিতেছেন গীতাঞ্জলি শ্রী। ‘টম্ব অব স্যান্ড’ উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়। উপন্যাস উপাখ্যান ৮০ বছর বয়সী এক নারীকে নিয়ে, যিনি ভারত বিভাজনের পর তার স্বামীর মৃত্যু দেখেছেন।

 উপন্যাসটি ভারত বিভাজনের ছায়ায় স্থাপিত একটি পারিবারিক কাহিনী। এটি ছিল প্রথম হিন্দি ভাষার বই যা ৫০ হাজার পাউন্ড পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছে।

গীতাঞ্জলি শ্রী

শুক্রবার বিবিসি এ খবর জানায়।

আরও পড়ুন -  IPL: দুই ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ব্যাঙ্গালুরু

পুরস্কার পাওয়া প্রসঙ্গে গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, ‘আমি কখনোই বুকারের স্বপ্ন দেখিনি,আমি কখনই ভাবিনি যে আমি পারব।’ তিনি বলেন, ‘কী বিশাল স্বীকৃতি! আমি বিস্মিত, আনন্দিত, সম্মানিত এবং বিনীত!’

বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, পুরস্কার গ্রহণকালের দেয়া বক্তব্যে গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, হিন্দিতে প্রথম বই হিসেবে পুরস্কার জিতে ভালো লাগছে।

তিনি বলেন, ‘আমার এবং এ বইটির পেছনে রয়েছে হিন্দি এবং অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় ভাষায় একটি সমৃদ্ধ এবং বিকশিত সাহিত্য ঐতিহ্য। এ ভাষার সেরা লেখকদের জানার মাধ্যমে বিশ্ব সাহিত্য আরও সমৃদ্ধ হবে।’

আরও পড়ুন -  US: রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ‘জয় না আসা পর্যন্ত’ ইউক্রেনকে সমর্থনঃ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি

বিচারকদের মধ্যে প্রধান ফ্র্যাঙ্ক উইন বলেন, প্যানেল তার উপন্যাসের ‘শক্তি, মর্মস্পর্শীতা এবং স্বতস্ফুর্ততা দ্বারা মুগ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘এটি ভারতবর্ষ এবং দেশভাগের একটি আলোকিত উপন্যাস।’ তিনি যোগ করেন যে, তিনি এর আগে এমন কিছু পড়েননি। তিনি এর ‘উচ্ছ্বাস’ ও ‘আবেগে’র প্রশংসা করেন।

পুরস্কারের অর্থ গীতাঞ্জলি এবং বইটির অনুবাদক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেইজি রকওয়েলের মধ্যে ভাগ করা হবে। ইংরেজিতে অনূদিত এবং যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত বইয়ের জন্য প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -  কনের বোন সরাসরি তার জামাইবাবুকে চুমু খেয়ে নিল সকলের সামনে ! বিয়ের অনুষ্ঠানে

গীতাঞ্জলির ৭২৫-পৃষ্ঠার উপন্যাসটি মিকো কাওয়াকামি, বোরা চুং, জন ফসে, ক্লডিয়া পিনেইরো এবং সাবেক বিজয়ী ওলগা টোকারজুকের পাঁচটি বাছাই করা উপন্যাসের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।

উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মইনপুরী শহরে জন্মগ্রহণকারী ৬৪ বছর বয়সী গীতাঞ্জলি তিনটি উপন্যাস এবং বেশ কয়েকটি গল্প সংকলনের লেখক। ছবিঃ বিবিসি।