সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠিয়েছিলো খুনি বন্দুকধারী,যে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। হামলা শুরুর কয়েক মিনিট আগে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে এক তরুণীকে তার পরিকল্পনা সম্পর্কে বার্তা পাঠান।
সেখানেই তিনি বলেন যে, তিনি এলিমেন্টারি স্কুলে যাচ্ছেন গুলি চালানোর জন্য। ওই তরুণীকে তিনি শেষ বার্তাটি দিয়েছেন হামলা শুরুর ১১ মিনিট আগে। ফেসবুকের সত্ত্বাধিকারী মেটা বলছে, ১৮ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিগতভাবে এসব বার্তা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার টেক্সাসের রব ইলেমেন্টারি স্কুলে গুলির ঘটনায় ১৯টি শিশু ও দুজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। নিহত শিশুদের বয়স সাত থেকে দশ বছরের মধ্যে। টেক্সাসের গভর্নর জানিয়েছেন, হামলাকারী আগে কোন অপরাধ করেছেন বা আগে থেকে তার মানসিক সমস্যা ছিলো,এমন কোন তথ্য নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি শিগগিরই টেক্সাস সফরে যাবেন এবং একই সাথে তিনি বন্দুক নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটাই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সময়।
টেক্সাসে পুলিশ একজন শিক্ষার্থীকে অস্ত্রসহ আটক করেছে। তার কাছে একে-৪৮ স্টাইলের পিস্তল এবং এআর ১৫ মডেলের রাইফেলের রেপ্লিকা পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার যেখানে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেখান থেকে ৩৫০ মাইল উত্তরে রিচার্ডসনের একটি হাইস্কুলের বাইরে থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
বার্কনার হাই স্কুলের বাইরে একজন রাইফেল নিয়ে ঘুরছে, এমন তথ্য দিয়ে জরুরি নম্বরে কল দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এই কল পেয়েই পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করে। পুলিশ বলছে, অস্ত্রটি তার গাড়িতে পাওয়া গেছে এবং তার বিরুদ্ধে অস্ত্রমুক্ত স্কুল জোনে অস্ত্র বহনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বন্দুকধারীর মা যা বলেছেন, টেক্সাসের প্রাইমারি স্কুলে যে বন্দুকধারী গুলি চালিয়ে ২১ জনকে খুন করেছে তার সম্পর্কে কথা বলেছেন তার মা। হাসপাতাল থেকে আদ্রিয়ানা রেয়েস ব্রিটেনের ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘আমার ছেলে সহিংস ছিলো না। সে যা করেছে তাতে আমি বিস্মিত।’ প্রতীকী ছবি, বিবিসি।