ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের আজবস্টাল স্টিল কারখানায় আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়াদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। প্রশ্ন উঠছে, ওই কারাখানার ভেতরে অবস্থান করা ইউক্রেনীয় সেনাদের পরিস্থিতি কী হবে?
কারাখানাটি রুশ বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ। রবিবার বিবিসির খবরে বলা হয়, ওই স্টিল কারখানায় হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী। রাশিয়া বলছে, কারখানার অভ্যন্তরে কয়েকশ’ যোদ্ধা রয়েছেন। তাদেরকে অবশ্যই নিরস্ত্র হতে হবে। তবে ইউক্রেনের সেনাদের বক্তব্য, তারা আত্মসমর্পন করে অস্ত্র জমা দেবেন না।
এরইমধ্যে বিরল এক সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আজবস্টাল স্টিল কারখানার ইউক্রেনীয় সেনারা।
ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আইরিনা ভেরেসচুকের উদ্ধৃত্ত দিয়ে রবিবার আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের মারিউপোলের আজবস্টাল স্টিল কারখানা থেকে সব নারী, শিশু ও বয়স্কদের উদ্ধার করা হয়েছে।
মারিউপোল শহরের অধিকাংশ এলাকা দখলে নেয়ার পর আজবস্টাল স্টিল কারখানার ভেতর থেকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে থাকেন ইউক্রেনীয় সেনারা। সেখানে আশ্রয় নেন ইউক্রেনের অনেক বেসামরিক নাগরিকও।
রুশ বাহিনী কারখানার চারপাশে অবস্থান নেয়ায় সেনা ও বেসামরিক লোকজনকে উদ্ধার কঠিন হয়ে পড়ে, সৃষ্টি হয় বড় ধরনের মানবিক সংকট।
এ নিয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। নৈশকালীন ভাষণে তিনি জানান, অবরুদ্ধ আজবস্টাল কারখানা থেকে ৩০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ কারখানার ভেতরে আহত ইউক্রেনীয় সেনারাও রয়েছেন, যাদের উদ্ধারের ওপর জোর দেন তিনি।
কারখানায় আটকা সেনাদের উদ্ধার করতে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের (এমএসএফ) প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ নিয়ে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এমএসএফের কাছে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজবস্টাল স্টিল কারখানা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। তিন দিনের উদ্ধার অভিযানে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ২২ নারী ও ১১ শিশু রয়েছে।
ছবি: আল জাজিরা