উপকরণঃ
মুরগির ১২টি রান, পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল চামচ, আদা, রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ, টক দই আধ কাপ, টমেটো ১টি, কারি পাউডার ১ টেবিল চামচ, জয়ফল বাটা ১ চা চামচ,শাহ জিরা বাটা ১ চা চামচ, জয়ত্রী বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ দেড় কাপ, আলু বোখারা ৬/৭টি, গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ, সামান্য লবণ, তেল আধ কাপ, কাঁচামরিচ সামান্য। বাসমতি চাল (১ কেজি),টমেটো সস ১ চামচ, নারিকেল দুধের পাউডার আধ কাপ, জল ৯ কাপ , কেওড়া জল ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম এবং কিশমিশ, কিছু পেঁয়াজ ও ঘি পৌনে এক কাপ।
প্রণালিঃ
বাসমতি চাল ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এবার মুরগির টুকরাগুলো ধুয়ে জল ভালো করে মুছে নিন। মুরগির সঙ্গে ১ চা চামচ পরিমাণ লবণ এবং ১ চা চামচ পরিমাণ হলুদ গুঁড়া মেখে রাখুন। তেলে মুরগিগুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলে পেঁয়াজ বাটা, আদা, রসুন দিয়ে ভালো করে ভাজা ভাজা করে নিন এবং ভাজা হলে টক দই, টমেটো কারি পাউডার, জয়ত্রী, জয়ফল, একটু জল এবং অল্প লবণ দিয়ে ভালো করে মসলা কষিয়ে ভাজা মুরগিগুলো কষিয়ে নিন। সামান্য জল দিয়ে মুরগি ঢেকে ৫/৬ মিনিট রান্না করুন। মুরগি সিদ্ধ হয়ে এলে বেশি করে পেঁয়াজ বেরেস্তা, আলু বোখারা, গোলাপ জল কাঁচামরিচ এবং লবণ দিয়ে দিন।
লবণ দিয়ে নেড়ে ২/৩ মিনিট গ্যাসে রেখে মাখা মাখা মুরগি ঝোল থাকতে নামিয়ে নিন। অন্য একটি হাঁড়িতে চাল রান্নার জন্য ঘি বাদাম কিশমিশ ভেজে তুলে রাখুন। এবার ঘির সঙ্গে এলাচ দারুচিনি লেমন গ্রাস এবং পেঁয়াজ দিয়ে বাদামি করে ভেজে সঙ্গে আদা বাটা, টমেটো সস দিয়ে কষিয়ে জল ঝরানো চাল ৭/৮ মিনিট ভাজতে থাকুন। ভাজার পর্যায়ে চালের রং পরিবর্তন হলে নারিকেল দুধ মিশানো গরম জল দিয়ে সঙ্গে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে নেড়ে দিন। চাল ৩/৪ বার বলগ উঠে যখন হাফ রান্না হবে তখন আলাদা একটি হাঁড়িতে কিছু চাল উঠিয়ে রান্না করা মুরগি মাংস সব চাল হাড়িতে ঢেলে দিন এবং তুলে রাখা চাল ওপরে দিয়ে দিন। এবার ওপরে কেওড়া জল, বাদাম, কিশমিশ এবং পেঁয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দমে রাখুন ২০ মিনিট।