ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রবিবার ‘রান-অফ’ ভোটিং ব্যবস্থার দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার ফ্রান্স একটি তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং মেরুকরণের নির্বাচনী প্রচারণার পর আগামী পাঁচ বছর দেশ শাসন করার জন্য মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং চরম ডানপন্থী মেরিন লে পেনের মধ্যে আগামীকালের নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল প্রথম দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসসের।
রান-অফ ভোটে ম্যাক্রোঁর পুননির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জনপ্রিয়তার বিচারে এমন ইঙ্গিত রয়েছে যে তিনি পেনের বিরুদ্ধে এক-দফা নির্বাচনী বিতর্কে লড়াইমূলক পারফরমেন্সের মাধ্যমে নিজের জন্য সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এবং তার মিত্ররা গত সপ্তাহে জোর দিয়ে বলেছে যে, ২০১৬ সালের ভোটে ফলাফল ব্রিটেনের ব্রেক্সিট এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার উত্থান সঙ্গে তুলনীয় ফ্রান্সে একটি ধাক্কা এড়াতে এ ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লে পেনের জয় ইউরোপ জুড়ে শকওয়েভ পাঠাবে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎসসহ বামপন্থী ইইউ নেতারা ম্যাক্রোঁকে বেছে নেয়ার জন্য ফ্রান্সের জনগনের কাছে অনুরোধ করেছেন।
নির্বাচনে লে পেন বিজয়ী হলে তিনি হবেন আধুনিক ফ্রান্সের প্রথম চরম দক্ষিণপন্থী নেতা এবং নারী প্রেসিডেন্ট। ম্যাক্রোঁ নির্বাচিত হলে তিনি হবেন দুই দশকের মধ্যে প্রথম পুনরায় নির্বাচিত ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
ম্যক্রোঁ নির্বাচিত হলে প্রতীকী ভঙ্গিতে মধ্য প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে চ্যাম্প ডি মার্সে সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেবেন। ফ্রান্সের মূল ভূখন্ডে রোববার গ্রীনিচ মান সময় ০৬টায় ভোট শুরু হবে এবং ১২ ঘণ্টা পর বন্ধ হবে।