মার্কিন আইনপ্রণেতা ইলহান ওমরের পাকিস্তান সফরের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে ‘সংকীর্ণ মানসিকতা’ উল্লেখ করে এর সমালোচনা করা হয়েছে।
শুক্রবার এনডিটিভি এ খবর জানায়।
মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে মার্কিন আইনপ্রণেতা ইলহান ওমরের বৈঠক এবং পাকিস্তানের কাশ্মীরে তার ‘অনানুষ্ঠানিক, ব্যক্তিগত’ সফর কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেনি।
বৃহস্পতিবার ভারত ইলহানের পাক-অধিকৃত কাশ্মীর সফরকে ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানায় এবং এটি তার ‘সংকীর্ণ মানসিকতার’ রাজনীতিকে প্রতিফলিত করে বলে উল্লেখ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কংগ্রেস উইম্যান গত ২০ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানে চার দিনের সফরে রয়েছেন। বুধবার তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে দেখা করার পাশাপাশি চড়ক এর একটি অংশ পরিদর্শন করেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পরামর্শদাতা ডেরেক চোলেট বলেন, ‘এটি একটি অনানুষ্ঠানিক ব্যক্তিগত সফর এবং এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নীতি পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
ইলহান ওমর একজন সোমালি বংশদ্ভূত মার্কিনি যিনি জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা। পাকিস্তান সফরে এসে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ কাশ্মীরের প্রতি আরও মনোযোগ দেয়া।’ তার এ মন্তব্য ভারতের কঠোর নিন্দা কুঁড়িয়েছিল।
সফরকালে ইলহান ওমর বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, এটা (কাশ্মীর) নিয়ে কংগ্রেসে বা প্রশাসনের সঙ্গে যতটা কথা বলা প্রয়োজন, ঠিক ততোটা বলা হচ্ছে।’
এ নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই যে, এ জাতীয় রাজনীতিবিদ যদি নিজ বাড়িতে তার সংকীর্ণ-মনা রাজনীতির অনুশীলন করেন, তাহলে এটা হলো তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু আমাদের অঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বিষয়টিকে আমাদের করে তুলেছে। আমরা মনে করি, এ সফর নিন্দনীয়।’