নিউইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ব্রুকলিনের সানসেট পার্কের ৩৬ নম্বর স্ট্রিট স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছতেই দেখা যায়, যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে বেরিয়ে আসছেন। আর ট্রেনের কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ম্যানহাটন থেকে সানসেট পার্কের এ স্টেশনে আসতে ১৫ মিনিট সময় লাগে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখনো এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে না। আক্রমণকারী পলাতক রয়েছে। ৬২ বছর বয়সি ফ্র্যাঙ্ক আর জেমসকে ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ বলে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তবে জেমসই আক্রমণকারী কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতেই কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তারপর লোকজন হুড়োহুড়ি করে বের হতে শুরু করেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ কয়েকজন প্ল্যাটফর্মে লুটিয়ে পড়েন। বাকিরা পড়িমড়ি করে ছুটে বাইরে আসেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের শরীরে গুলি লেগেছে। বাকিদের আঘাতের কারণ অস্পষ্ট। নিউইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, সব মিলিয়ে ২৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের রিপোর্ট বলছে, ৩৫ নম্বর স্ট্রিট ও ৩৬ নম্বর স্ট্রিট স্টেশনের মাঝামাঝি মাস্ক পরা ওই ব্যক্তি স্মোক বোমা ছোঁড়ে ও গুলি চালায়। ট্রেনটি ধোঁয়ায় ভরে যায়।
করিস ফিয়োকো তখন স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ট্রেনটি থামতেই যাত্রীরা প্রবল চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাইরের দিকে ছুটতে থাকেন।
ট্রেনটি যখন পরের স্টেশনে পৌঁছায়, তখন আহত কয়েকজন ট্রেন থেকে নামেন। পুলিশ দুটি স্টেশনই ঘিরে রাখে। কিন্তু তারা আক্রমণকারীকে ধরতে পারেনি।
পুলিশ একজন ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’-এর নাম জানিয়েছে। ওই ব্যক্তির সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্ট খতিয়ে দেখেছে তারা। সেখানে দেখা গেছে, সে গৃহহীন।
নিউইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জানান, পুলিশ বন্দুকধারীর খোঁজ করছে। ৩৬ নম্বর স্ট্রিট স্টেশন আসতেই সে গ্যাস মাস্ক লাগিয়ে নেয়। ব্যাগে স্মোক বোমা রাখা ছিল। বোমা ছুঁড়তেই ট্রেনটি ধোঁয়ায় ভরে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। গ্যাস মাস্ক পরা ব্যক্তিটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
ছবি: ডয়চে ভেলে।