জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সোমবার জানিয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ছয় সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শিশু তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে।
জাতিসংঘ ১৪২ যুবকের মৃত্যুর বিষয়টিও যাচাই করেছে। যদিও তারা বলছে, প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি হতে পারে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেন থেকে ফিরে ইউনিসেফের জরুরী প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ম্যানুয়েল ফন্টেইন বলেন, ইউক্রেনের ৭৫ লাখ শিশুর মধ্যে ৪৮ লাখ এতো অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়া এমন একটি বিষয় যা তিনি ৩১ বছরের মানবিক কাজের মধ্যে এত দ্রুত ঘটতে দেখেননি।
ফন্টেইন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ‘আনুমানিক ৩২ লাখ শিশু তাদের বাড়িতে রয়ে গেছে। এদের প্রায় অর্ধেকই পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
তিনি সতর্ক করেন যে, পরিস্থিতি সম্ভবত মারিউপোল এবং খেরসনের মতো শহরগুলোতে আরও খারাপ ছিল, যেখানে কোনও জল এবং স্যানিটেশন পরিষেবা নেই এবং খাদ্য ও ওষুধের সরবরাহ নেই।
ইউক্রেনের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়্যাসের দাবি করেন, রাশিয়া ইউক্রেন থেকে ১ লাখ ২১ হাজারের বেশি শিশুকে নিয়ে গেছে এবং দত্তক নেয়ার পদ্ধতিকে সহজ এবং ত্বরান্বিত করার জন্য একটি বিলের খসড়া তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।
ফন্টেইন বলেন যে, এ ধরনের অভিযোগের এখনও ‘কোন প্রমাণ’ নেই। তবে ইউনিসেফ বিষয়টি তদন্ত করবে। প্রতীকী ছবি। বিবিসি।