বাঙালি অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের জন্মদিন আজ। ১৯৪৮ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের জবলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী।
নয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেছেন, তার মধ্যে তিনটি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে, তিনটি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে। তিনি অভিনয় বিভাগে নারীদের মধ্যে রানী মুখার্জীর সাথে যৌথভাবে সর্বাধিক পুরস্কার বিজয়ী। তিনি ২০০৭ সালে ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে।
সত্যজিৎ রায়ের মহানগর (১৯৬৩) চলচ্চিত্র দিয়ে অভিষেকের পর প্রাপ্ত বয়স্ক চরিত্রে তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের গুড্ডি (১৯৭১)। এরপর তিনি হৃষিকেশের পরিচালনায় আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি উপহার (১৯৭১), কোশিশ (১৯৭২) ও কোরা কাগজ (১৯৭৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি তার স্বামী অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে জঞ্জির (১৯৭৩), অভিমান (১৯৭৩), চুপকে চুপকে (১৯৭৫), মিলি (১৯৭৫) ও শোলে (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী ও অভিষেক বচ্চন ও শ্বেতা নন্দার মা। বিয়ের পর তাকে চলচ্চিত্রে কম অভিনয় করতে দেখা যায়। ১৯৮১ সালে সিলসিলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি অভিনয় থেকে দীর্ঘ বিরতি নেন।
গোবিন্দ নিহলানির হাজার চৌরাশি কী মা চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন। তখন থেকে তিনি কয়েকটি সমাদৃত ও ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর মধ্যে রয়েছে ফিজা (২০০০), কভি খুশি কভি গম… (২০০১), ও কাল হো না হো (২০০৩), যার জন্য তিনি সমাদৃত হন এবং কয়েকটি পুরস্কার ও মনোনয়ন লাভ করেন।
১৫ বছর বয়সে সত্যজিৎ রায়ের বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র মহানগর (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছিলেন অনিল চট্টোপাধ্যায় ও মাধবী মুখোপাধ্যায়। এরপর তিনি আরও দুটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, সেগুলো হল ১৩ মিনিট দৈর্ঘ্যের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সুমন এবং ১৯৭১ সালে ধন্যি মেয়ে চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের ভাতৃবধূ চরিত্রে।
ফাইল ছবি।