Pakistan: অনাস্থা ভোটেই ইমরান প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাচ্ছেন?

Published By: Khabar India Online | Published On:

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হবে শনিবার। ভোটে ইমরানের হার হলে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে।

 বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার জন্য ডেপুটি স্পিকারের রায় বাতিল করে। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্টের দ্বারা পরবর্তী পার্লামেন্ট অধিবেশন ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তও বাতিল করে।

শুক্রবার দ্য ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারক সর্বসম্মতভাবে এ দুই রায়ের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

আরও পড়ুন -  Swastika Mukherjee: ব্লাউজ ছাড়াই শাড়িতে মোহময়ী স্বস্তিকা, মুগ্ধ নেটিজেনরা !

আদালত সংক্ষিপ্ত আদেশে বলছে, ডেপুটি স্পিকারের রায় ‘সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী এবং এতে কোন আইনি প্রভাব নেই।’

সুপ্রিম কোর্ট আদেশে আরও বলেছে, প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তও ‘সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী এবং এতে আইনি প্রভাব নেই।’

পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের ধারা (১) এর কথা উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না।

আরও পড়ুন -  মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন, এই বিজয় জনগণের বিজয়ঃ শেখ হাসিনা

 আদালত পার্লামেন্টের অধিবেশন অব্যহত রাখতে বলে। আদালত বলেছে, ‘(জাতীয়) পরিষদ সর্বদা বিদ্যমান ছিল, থাকবে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

আদালতের আদেশ প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভাকে তাদের পদে পুনর্বহাল করেছে। আদেশে বলা হয়, ‘পূর্বোক্তগুলোর ফলস্বরূপ, ঘোষণা করা হয় যে প্রধানমন্ত্রী এবং ফেডারেল মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা ইত্যাদি তাদের নিজ নিজ অফিসে পুনরায় কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।’

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। ছবি: দ্য ডন অনলাইন

শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসানোর নির্দেশ।  শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন পুনরায় আহ্বান করার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সমাপ্তি ছাড়া অধিবেশন স্থগিত করা যাবে না।

আরও পড়ুন -  অভিনয় দেখার পরে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, ভিডিও দেখুন

অনাস্থা ভোট হলে ইমরান খানের হেরে যাওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ, তার জোটের শরিক কয়েকটি দল বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ইমরানের পদত্যাগ অনেকটা সময়ের ব্যাপার। ভিন্ন কিছু না হলে শনিবারই অনাস্থায় হার হতে পারে ইমরানের। ছবি: ডন