করোনার সময় ঘরে বসে প্রায় সকলের ওজন বেশি বেড়ে গেছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে কমবেশি সবাই স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। কারণ হলো অনিয়মিত জীবন-যাপন। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং নির্দিষ্ট ধরণের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
ওজন কমাতে সঠিক খাদ্যাভাস ৭০ শতাংশ ও শরীরচর্চা ৩০ শতাংশ অবদান রাখে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। এ দুটো বিষয়ের দিকেই খেয়াল রাখা জরুরি। এর পাশাপাশি ওজন কমানোর সময় আপনি কী খাচ্ছেন তা জানা উচিত। দ্বিতীয়ত আপনার খাবারগুলোর দিকে নজর দিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনার কাবার কি খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখুন। দৈনিক তা লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে আপনার ওজন দ্রুত কমাতে পারবেন। অবিশ্বাস্য হলেও বিষয়টি কিন্তু কার্যকরী।
আপনি কী খাচ্ছেন ও কতটুকু খাচ্ছেন তার হিসাব রাখাকে ফুড ডায়েরি বা ফুড জার্নালিং বলা হয়। এতে তারিখসহ প্রতিদিনের ডায়েট চার্ট লিখে রাখুন। ফলে আপনি ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন খুব সহজেই।
ফলে পরের দিনের জন্য আপনার খাবারের পরিকল্পনা করা সহজ হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুড জার্নালিংয়ের মাধ্যমে নিজের খাদ্যাভ্যাস বুঝতে ও তার উপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট প্ল্যান তৈরি করতেও সাহায্য করে।
বিভিন্ন গবেষণা প্রমাণ করে যে, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দৈনিক তালিকা ভালো কাজ করে। একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, দৈনিক ১৫ মিনিটের এই অভ্যাস আপনাকে বিস্ময়করভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
১৫০ জন লোকের উপর এই সমীক্ষা করা হয়। যারা ৬ মাস ধরে তাদের খাদ্যাভ্যাসের চার্ট অনুসরণ করেছিলেন। পরে দেখা যায়, তারা ডায়েট বা জিম না করেই কয়েক মাসের মধ্যেই ওজন ঝরিয়েছেন, তাও আবার নিজেদের ফুড জার্নাল অনুসরণ করে। বিষয়টি সত্যিই।
ভার্মন্ট ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনার বিজ্ঞানীদের একটি দলের গবেষণায় দেখেছেন, যারা শরীরের ওজনের ১০ শতাংশ কমিয়েছেন তারা প্রথম মাসের খাদ্যাভ্যাস গড়ে ২৩ শতাংশ রেকর্ড করেছিলেন।
তার ফলে ওজন কমে দারুন ফিট রয়েছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/ওয়েবএমডি