আগামী নভেম্বরেই পুরো বিশ্ব বুঁদ হয়ে উঠবে ফুটবলের বড় এই মহাযজ্ঞে। কাতারের রাজধানী দোহায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র। তার আগে বিশ্ব ফুটবলের সবেচেয়ে বড় এই আসরের অফিসিয়াল বল সামনে আনলো বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস।
কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বলের নাম রাখা হয়েছে ‘আল রিহলা’। যার বাংলা অর্থ ‘যাত্রা’। এ নিয়ে টানা ১৪ আসরে ফিফা বিশ্বকাপের বল তৈরি করলো অ্যাডিডাস। বলের নাম ‘আল রিহলা’ বা ‘যাত্রা’র নেপথ্যে রয়েছে বর্তমানের গতিময় ফুটবলের সাথে সাদৃশ্যতা। এবারের বিশ্বকাপের বলের ডিজাইনে তুলে আনা হয়েছে কাতারের জাতীয় পতাকা রঙ, প্রতীকী নৌকা, স্থাপত্য ও তাদের সংস্কৃতি।
অ্যাডিডাসের ডিজাইন বিভাগের প্রধান ফ্রান্সিসকা লোফেলমান জানিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপের বলটিই বিশ্বকাপ ইতিহাসে বাতাসে সবচেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন হবে। বর্তমানের গতিময় ফুটবলের সঙ্গে মিলিয়েই দ্রুতগতির এই বল তৈরি করা হয়েছে। গতিময় ফুটবলের ছন্দে বেশ দারুণভাবেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে ‘আল রিহলা’।
ফিফাও জানিয়েছে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে পূর্বের আসরগুলোর কোনোটিতেই এতো দ্রুতগতির বল দিয়ে খেলা হয়নি। গতির প্রশ্ন বাদেও ম্যাচের মান বাড়ানোর ক্ষেত্রেও বলের অবদান থাকবে বলে আশাবাদী ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
‘আল রিহলা’ তৈরি করা হয়েছে পানিভিত্তিক আঁঠা ও কালিরমতো পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দ্বারা। সাদা রংয়ের প্ল্যাটফর্মের উপর লাল, নীল, হলুদ আর কমলা রঙ দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে এবারের বিশ্বকাপের বল। কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল লোগো আর অ্যাডিডাসের লোগোও থাকছে বলের উপর।
এবারের বিশ্বকাপের বলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্পিডশেল আর সিআরটি-কোর (CRT-CORE)। এই কোরটিই প্রধানত বলের হৃৎপিণ্ড হিসেবে কাজ করবে। বাতাসের সঞ্চালনের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে এই সিআরটি কোর।
১৯৩০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের আগের সকল আসরের অফিসিয়াল বল। ছবি- সংগৃহীত
‘আল রিহলা’ অফিসিয়াল ভাবে উন্মোচন করেন অ্যাডিডাসের সবচেয়ে বড় আইকন লিওনেল মেসি। এরপর বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল নিয়ে ফটোশ্যুট করেন মেসি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ড হিউং-মিন সন।
৩০ মার্চ থেকে অ্যাডিডাসের অফিসিয়াল আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ‘আল রিহলা’। বিভিন্ন উপমহাদেশেও বলটির প্রচারণামূলক কাজও শিগগিরই শুরু করবে অ্যাডিডাস।