২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয় মোহরের পথ চলা। শুরুর দিকে ধারাবাহিকটির রেটিং একদম তলানিতে ছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে জেগে ওঠে মোহর।২০২০ সালের অনেকটা সময় ধরে টিআরপিতে মোহরে রাজত্ব ছিল। ১২.১ রেটিং দিয়ে বেঙ্গল টপার হয়েছে মোহর।
ধারাবাহিকটি শেষ হওয়ার গুঞ্জন বহুদিন ধরে ছিল। অবশেষে শেষ শুটিংয়ের যবনিকা পতন হয়ে গেল। জলপাইগুড়ির এক মেয়ের বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে এই শহরে শুধুমাত্র পড়ার জন্য ছুটে আসার গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল মোহর। নারীদের আত্মসম্মান, নিজের ইচ্ছায় বাঁচা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সামিল হয়েছিল মোহরও। মোহরের প্রতিবাদী দর্শকদের মনে খুব ধরেছিল।
শঙ্খ এবং মোহর এই দুই জুটি বাংলা টেলিভিশনের বলা যেতে পারে ইতিহাস তৈরি করা এক জুটি। এই জুটিকে নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। আর এই চর্চাই মোহরকে এতদিন দর্শকদের প্রিয় করে রেখেছিল। মোহর শেষ হয়ে যাওয়ার পর শঙ্খ এবং মোহর এই জুটিকে মিস করবেন দর্শক মিস করবেন দর্শক। যদিও রানা সরকারের প্রযোজনায় আবারো তাদের একটি ছবিতে খুব শীঘ্রই দেখা যাবে।
গতকাল শেষ শুটিং হয়ে গেল মোহর ধারাবাহিকের। গতকাল দসানী স্টুডিওতে হাজির হয়েছিলেন মোহর ধারাবাহিকের সকল কলাকুশলীদের ব্যতিক্রম ছিলেন একজন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মোহর ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি চরিত্র দর্শকদের খুব কাছের। তার যেমন মোহর-শঙ্খ জুটিকে প্রাণ ভরে ভালোবাসা দিয়েছেন তেমনি ভালোবাসা দিয়েছিলেন অদিতি এবং আদি স্যারকে। এই দিন সমস্ত কলাকুশলীরা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের ছবি কে পাশে রেখেই কেক কাটলেন।
প্রিয় ধারাবাহিক এভাবে শেষ হয়ে যাওয়ায় দর্শকদের মন ভার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা নানা রকমের মতামত লিখতে শুরু করে দিয়েছেন। মোহর ধারাবাহিকের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত লেখেন,“সবাই কে অনেক অনেক মিস করবো। মোহরেও সবার প্রিয় আদি স্যারকে মৃত দেখানো হয়েছে। সাথে কেক কাটার সময় স্যার ছবি টা সাথে রেখেই কেক কাটলো অনেক কষ্ট লাগছে অভিষেক স্যারের জন্য। মোহরের প্রায় তিন বছরে যাত্রা শেষ হতে চলেছে।” আবার আরেকজন অনুরাগীর বক্তব্য, শঙ্খের সাথে এখনো অদিতির সেই গতানুগতিক মা ছেলের সম্পর্কটা হলোনা আরো কটা মাস চালানো যেতো।