খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার সংজ্ঞায় পরিবর্তন, তহবিল সদ্ব্যবহারে পরিকল্পনা, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সেরা সংস্থাগুলির জন্য চালু হওয়া চ্যাম্পিয়ন পোর্টাল, এ ধরনের সংস্থাগুলিকে ঋণ সহায়তার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া প্রভৃতি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মহামারীর কারণে লকডাউনের দরুণ মন্থর হয়ে যাওয়া অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। বণিকসভা ফিকির কর্ণাটক শাখা আয়োজিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা সংক্রান্ত এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে ভাষণে শ্রী গড়করি সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে যাবতীয় ভয় ও নেতিবাচক মনোভাব দূরে সরিয়ে রাখার আহ্বান জানান। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, দেশকে মহাশক্তিধর অর্থনীতিতে পরিণত করতে সরকার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। শ্রী গড়করি আরও জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিকে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ৩ লক্ষ কোটি টাকা রিলিফ প্যাকেজ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বকেয়া মেটানোর ক্ষেত্রে বিলম্বের বিষয়ে শ্রী গড়করি সমস্ত মন্ত্রক, দপ্তর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে ৪৫ দিনের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির বকেয় মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, সমাধান পোর্টালে নথিভুক্ত অভিযোগগুলি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
আত্মনির্ভর ভারত অভিযান সম্পর্কে আলোচনার সময় শ্রী গড়করি বলেন, ১১৫টি উন্নয়নে আগ্রহী জেলায় হস্তশিল্প, কারুশিল্প, খাদি শিল্প এবং কৃষি-ভিত্তিক শিল্পগুলিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃষি, গ্রামীণ ও আদিবাসী মানুষের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। কারণ, এই ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। অনুষ্ঠানে কর্ণাটকের মন্ত্রী শ্রী জগদীশ শেট্টার, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং ফিকির সদস্য/প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র – পিআইবি।