টাটকা ফলের রস পান করা শরীরের পক্ষে ভাল হলেও, নিয়মিত আঙুরের রস পান করা ঠিক কি না, তা জানেন না অনেকেই। দেখে নিন আঙুরের রস পান করার ভাল-মন্দ।
হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষাঃ আঙুরের রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, আঙুরের রসে থাকে ‘ফ্ল্যাভিনয়েড’ জাতীয় উপাদান। হৃদ্যন্ত্রের প্রদাহ ও রক্তনালীর ভিতরে জমে থাকা বিভিন্ন রকমের ক্ষতিকর পদার্থ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি, আঙুরের রস ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ বিভিন্ন ধরনের আঙুরের রসে থাকে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, সর্দি-কাশি বা মুখের ঘায়ের মতো সমস্যা নিরসনে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি, এটি একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বটে। কোষের অভ্যন্তরে জারণ প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া চাপ কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
পেট ভাল থাকেঃ গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ১০০ মিলিলিটার আঙুরের রস পান করলে তা পেট ভাল রাখতে ও হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। আঙুরের রসে থাকা বিভিন্ন উপাদান, বিশেষত পলিফেনল জাতীয় উপাদান পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খুবই উপযোগী। তা ছাড়া, আঙুরের রসে কিছুটা ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
তবে একাধিক গুণ থাকলেও নিয়মিত আঙুরের রস খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। আঙুরের রসে থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। ফলে আঙুরের রস পান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।
তাই অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞরা ডায়াবিটিস রোগীদের নিয়মিত আঙুরের রস খেতে নিষেধ করেন। আধুনিক গবেষণা অবশ্য বলছে, অতিরিক্ত চিনি যোগ না করলে ফলের রস থেকে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমই। পাশাপাশি, নিয়মিত আঙুরের রস খেলে বেড়ে যেতে পারে ওজন। তাই সব মিলিয়ে নিয়মিত আঙুরের রস খেতে হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ করে খাবেন।