পরিবারের ধারার অন্য পথে হেঁটেছিলেন অমিতাভের কন্যা শ্বেতা বচ্চন। কেরিয়ারের শুরুটা মডেলিং দিয়ে করলেও পরবর্তীকালে তিনি হয়ে ওঠেন সাংবাদিক। মুম্বাইয়ের জনৈক দুটি পেজ থ্রি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লেখেন। এছাড়াও তাঁর লিখিত উপন্যাস প্যারাডাইস টাওয়ার্স বেস্টসেলারও ছিল।
আজ শ্বেতা বচ্চন নন্দা পা দিলেন ৪৭ এ। ১৯৯৭ এ তিনি ব্যবসায়ী নিখিল নন্দাকে বিবাহ করেন। যিনি কালজয়ী অভিনেতা রাজ কাপুরের নাতি। শ্বেতার শাশুড়ি হলেন রিতু নন্দা। দুই পুত্র কন্যাকে নিয়ে শ্বেতার সংসার। শ্বেতার জ্যেষ্ঠ কন্যা হলেন নভ্যা নভেলি নন্দা এবং কনিষ্ঠপুত্র হলেন অগস্তা নন্দা। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাদু আমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ছবিতে দেখা যায়।
নিজে কোনদিনও প্রচারের আলোয় আসেননি শ্বেতা বচ্চন। যেটুকু তিনি সংবাদপত্রের চর্চায় এসেছেন তা বচ্চন পরিবারের কন্যা হওয়ার সুবাদে। পরিবারের সকলে যখন জমিয়ে অভিনয় করছেন তিনি বেছে নিয়েছিলেন অন্য এক পেশা।
আজ তাঁর জন্মদিন। ছোটবেলা থেকেই দিদির সঙ্গে নানা খুনসুটি করে বড় হয়েছে অভিষেক বচ্চন। আজ ইনস্টাগ্রামে অমিতাভ পুত্র অভিষেক বচ্চন ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠা অবধি দিদির সঙ্গে নানা ছবির কোলাজ ভিডিও আকারে পোস্ট করেন।
View this post on Instagram
ছোটবেলাতেও দুই ভাইবোনের মধ্যে একটা জিনিসে মিল ছিল। তা হল তাঁদের অমলিন হাসি। আজ ইনস্টাগ্রামে অভিনেতা অভিষেক বচ্চন তাঁর দিদি শ্বেতা বচ্চনের নানা অদেখা ছবি শেয়ার করেন। আটটি ছবির এই কোলাজে প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে শ্বেতা তাঁর ছোট্ট ভাই অভিষেককে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। শ্বেতার পরনে আলগোছে থাকা টেপ জামা। এই ছবি দেখে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে ছোটবেলা থেকেই ভাইয়ের প্রতি কতটা স্নেহের মনোভাব ছিল শ্বেতার।
ছবিতে দুই ভাই-বোনকে কোনও এক যন্ত্রাংশ নিয়ে খেলতে দেখা যাচ্ছে। অভিষেকের মুখে দুষ্টুমির হাসি। এমনই বিভিন্ন ছোটবেলার দুষ্টু মিষ্টি ছবির কোলাজে মন ভরে গিয়েছে অনুরাগীদের। ছোটবেলার পাশাপাশি তাঁদের কৈশোর থেকে যৌবন সব মুহূর্তের ছবি। একটি ছবিতে অনুরাগী তোর চোখ থমকে যায় অভিষেক বচ্চনকে দেখে। ছবিটি দেখে মনে হয় তিনি সবে অষ্টাদশ পার করা এক তরুণ।
এরপরের ছবিগুলি এখনকার সময়ের। এখনও যে দুই ভাইবোনের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট আছে তা রাখির ছবিগুলি দেখলেই বোঝা যায়। এই ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে অভিষেক বচ্চন ক্যাপশনে লেখেন,“শুভ জন্মদিন শ্বেতা দি… এবারের জন্মদিনে বড় কিছু চাই।” ভাইয়ের তরফ থেকে এরকম উপহার পেয়ে আপ্লুত হয়ে যায় দিদি শ্বেতা। তিনি লেখেন,“এটা খুব মিষ্টি ভাই। অনেক অনেক ভালোবাসা তোকে। ইস, আমরা যদি আবার ছোট হয়ে যেতে পারতাম।” খবরইন্ডিয়াঅনলাইন এর পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা।