পেছনের দিকে হাঁটার চেষ্টা করাও হতে পারে খুব ভালো একটি শরীরচর্চা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুনতে কাণ্ডজ্ঞানহীন মনে হলেও পেছনের দিকে হাঁটা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এটি মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রকে রাখবে ভালো।
কাজেই পরের বার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চেষ্টা করে দেখতেই পারেন পেছনের দিকে হাঁটার দারুণ এই ব্যায়ামটি।
পেছনের দিকে হাঁটলে সামনের দিকে হাঁটার চেয়ে বেশি ক্যালোরি খরচ হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১০০ পা পিছনের দিকে হাঁটা এক হাজার পা সামনের দিকে হাঁটার সমান। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, পেছনের দিকে হাঁটলে হৃদস্পন্দনের হার তুলনামূলকভাবে অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন পেশি ও অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় মস্তিষ্কেও। এতে মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়। এভাবে পেছনের দিকে হাঁটলে নিতম্ব, উরুর পেশি, গ্লুট, কোয়াড্রিসেপ পেশি অনেক বেশি কাজ করে।
পেছনের দিকে হাঁটতে হলে মস্তিষ্ককে হাঁটার সঙ্গে সঙ্গে পারিপার্শ্বিক বিষয় সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হতে হয়। ফলে উন্নতি হয় মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের।
আবার অল্প সময়ে অধিক ক্যালোরি খরচ হওয়ার ফলে সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও দারুণ উপযোগী এটি।
তবে পিছনের দিকে হাঁটতে গেলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই পড়ে যাওয়া এড়াতে সবসময় বাধামুক্ত খোলা জায়গায় হাঁটুন। এটি শুধু হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিই করে না ভারসাম্য এবং দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়।