বাপ্পী লাহিড়ীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বাপ্পী লাহিড়ীর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
গত মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি গায়ক বাপ্পী লাহিড়ী। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের জুহুর ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এ শিল্পী। তারপর থেকেই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এছাড়া একাধিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলে আবারো তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পী লাহিড়ী।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি সিনেমা জগতে জনপ্রিয় ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। ডিস্কো ডান্সার, চলতে চলতে, শরাবিসহ গেয়েছেন অসংখ্য গান। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার এবং সম্মান।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পী। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দুজনেই সঙ্গীত জগতের মানুষ। তাদের একমাত্র সন্তান বাপ্পী ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মা-বাবার কাছেই পান প্রথম গানের তালিম।
বাপ্পী লাহিড়ী রাজনীতিতেও নেমেছিলেন। বিজেপি-তে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েছিলেন।
১৯ বছর বয়সে দাদু (১৯৭২) নামক বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন। পরে মুম্বাইয়ে স্থানান্তরিত হন। ১৯৭৩ সালে হিন্দি ভাষায় নির্মিত নানহা শিকারী ছবিতে তিনি প্রথম গীত রচনা করেন। এরপর তাহির হুসেনের জখমী (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এতে তিনি গীত রচনাসহ গায়কের দ্বৈত ভূমিকায় অংশ নেন। ‘অসম্ভব কিছু নয়’ শিরোনামে মোহাম্মদ রফি এবং কিশোর কুমারের সঙ্গেও দ্বৈত সঙ্গীতে অংশ নেন। তার পরের চলচ্চিত্র হিসেবে চলতে চলতে ছবিটির গানও দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। রবিকান্ত নাগাইচের সুরক্ষা ছবিতে গান গেয়ে সঙ্গীতকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পান।