বাচ্চা প্রসবের কারখানা, জোর করে মহিলাদের করা হয় গর্ভবতী, ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে!

Published By: Khabar India Online | Published On:

মেয়েদের গর্ভবতী করে, তাদের বাচ্চা নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করার ঘটনা উঠে এসেছে সামনে।

 কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে যা সারা মানবজাতিকে লজ্জার মধ্যে ফেলে দেয়। অনেক ঘটনার ব্যাপারে জানতে পারি না কখনো। এরকম কয়েকটি ঘটনা সকলের সামনে উঠে এসেছে যা সকলকে একেবারে চমকে দিয়েছে। সম্প্রতি এমন একটি খবর উঠে এসেছে আফ্রিকা নাইজেরিয়া থেকে। জানা যাচ্ছে আফ্রিকার নাইজেরিয়ায় এমন একটি কারখানা আছে যেখানে প্রসব করানো হয় বাচ্চা!

দীর্ঘ বহু বছর ধরে বেবি ফার্মিং এর নাম করে এই ধরনের নিন্দাজনক কাজ চলে আসছে নাইজেরিয়ার একটি জায়গায়। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বহু দেশ এই কাজের বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু তবুও অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এই বিষয়টি এগিয়ে চলেছে। কম বয়সের আফ্রিকার মেয়ে এবং অন্যান্য দেশের মেয়েদের জোর করে গর্ভবতী করানো হয় এখানে। তারপর তাদেরকে জোর করে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়। ১৪ বছরের মেয়েদেরকেও এই কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে ওই দেশে।

আরও পড়ুন -  বৌদির অভিযোগ কাঠের বাটাম দিয়ে দেওর ডান হাত ভেঙে দেয়

এরকমই নিন্দাজনক এবং লজ্জাজনক ঘটনা কিছুদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় বারংবার উঠে আসছে।

নিঃসন্তান দম্পতিদের জন্য আফ্রিকা নাইজেরিয়াতে এই ব্যবসা শুরু করা হয়েছে। এখানে মূলত বাচ্চা নিতে আসেন তারাই যাদের সামর্থ্য থাকলেও তারা সন্তানসুখ লাভ করতে পারেন না। এই কারণেই তারা এই ধরনের বাচ্চা ক্রয় করে বিনামূল্যে তাদের বিরাট অংকের টাকা দিতে রাজি হয়ে থাকেন। অনেক মেয়ে জেনেশুনে টাকার জন্য কাজ করতে রাজি হয়ে যায়। অনেক মেয়েকে জোর করে নিয়ে এসে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে সারোগেট মাদার করা হয়। টাকার বিনিময় কারখানা থেকে শিশু ওই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন -  Ena Saha: অভিনেত্রী এনা সাহা সাত জনকে নিয়ে বিছানায়!

এই ধরনের ব্যবসা শুধুমাত্র যে আফ্রিকার নাইজেরিয়ায় রয়েছে তা কিন্তু নয়, বরং বিশ্বের বেশ কিছু উন্নতশীল দেশ যেমন ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন এবং অন্যান্য দেশীয় রমরমিয়ে এই ধরনের ব্যবসা চলছে। অনাথালয় এবং হাসপাতালের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে বেবি ফার্মিং এর মত ব্যবসা চালানো বিশ্বের একাধিক জায়গায়। নাইজেরিয়াতে লুকিয়ে চালানো এই ধরনের বেবি ফার্মিং এর ব্যবসা অনেকদিন ধরেই ভয়ানক আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। একটি রিপোর্টে উঠে এসেছিল, ২০১১ সালে এই সব জায়গা থেকে সুরক্ষা কর্মীরা একেবারে ৩২ জন মেয়েকে উদ্ধার করে, যাদের জোর করে সেখানে নিয়ে গিয়ে গর্ভবতী করানো হয়েছিল। এরা নিজেদের ইচ্ছাতে গর্ভপাত করাতে পারে না। আর বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরিবর্তে তাদের বেশ মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয়, তাই অনেকে টাকার জন্য মুখ বুজে এই বেবি ফার্মিংয়ের ব্যবসায় সায় দেন সারোগেট মাদার হয়ে।

আরও পড়ুন -  করোনার তান্ডব, বড় টুর্নামেন্ট “ কোপা আমেরিকা ”