২০২১ সালটিকে কেন মনে রাখবেন মানুষ? বিশেষ করে করোনার জন্যই। করোনা এই বছরটিকে দমিয়ে রেখে গেল। ফলে করোনার বিভীষিকা, তার ভয়াবহতাই মানুষ মনে রাখবে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, ২০২১ আর কিছু দিয়ে গেল না। দেখতে গেলে বিজ্ঞানে কিছু যুগান্তকারী ঘটনাও ঘটল অতিমারী-কবলিত এই ২০২১ সালেই। দেখে নেয়া যাক কী কী আবিষ্কার।
এই বছরের সব চেয়ে বড় আবিষ্কারটিই করোনা সম্পর্কিত। এই ২০২১ সালেই আবিষ্কৃত হয়েছে কোভিড-১৯ টিকা। ২০২০ থেকেই অবশ্য এই আবিষ্কারের প্রেক্ষিত তৈরি হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালেই তা বাজারে প্রাপ্য হয়। ২০২০ সালের শেষে টিকা বাজারে এসে গিয়েছিল, তবে তা আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য।
সব থেকে বড় ও সব চেয়ে শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এই বছরই বিজ্ঞানীদের হাতে এল। এটি প্রায় ১০ লক্ষ মাইল মহাকাশপথে নজরদারি চালাতে পারে!
চিনে ৯০ বছর আগে একটি করোটির জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছিল। সেটি একটি পরিবারের হাতে গোপন ছিল। তারা ২০১৮ সালে সেটি একটি জাদুঘরে দান করে। আর তার উপর গবেষণার ফল বেরিয়ে আসে এই ২০২১ সালেই। এটি আদি মানবের একটি প্রজাতির করোটি। এই করোটির বড় ক্রেনিয়াম, যাতে মস্তিষ্কের আকারও বেশ বড়। মোটা ভুরু, প্রায় বর্গাকার চোখের কোটর।
এ বছরই সামনে আসে যে, মানবজাতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রাণীদের বিবর্তনকে থমকে দিচ্ছে। যেমন আফ্রিকায় যে হাতি এখন পাওয়া যাচ্ছে তা দাঁতহীন। আর এটা হয়েছে একদল চোরা শিকারির নির্বিচার পশুহত্যার জেরে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯২ সালে মোজাম্বিসিয়ান সিভিল ওয়ার সময় পর্বে প্রচুর হাতি হত্যা করা হয়েছে। এখন দাঁত না জন্মাবার ট্রেন্ডটি হাতিদের জিনে ঢুকে পড়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গল গবেষণায় যুগান্তকারী ঘটনা ঘটল। পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের অ্যালাইনমেন্ট ঘটল। যা প্রতি ২৬ মাস পর পর ঘটে। এই মহাজাগতিক ঘটনার উপর নির্ভর করে মঙ্গল নিয়ে নানা খুঁটিনাটি ও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় মত্ত হতে পারেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলপৃষ্ঠ বিষয়ে নানা নতুন তথ্য হাতে আসে।