সোশ্যাল মিডিয়ায় MA English Chaiwali এর জনপ্রিয়তা বেশ জমজমাট। অনেকেই এই তরুণীর চায়ের দোকানে আসেন সকাল সন্ধ্যার তেষ্টা নিবারণ করতে। জমে ওঠে আড্ডা, আলাপ ও আলোচনা। বাড়ে ব্যবসা, তরুণীর স্বপ্ন ডানা মেলে হাবড়ার আকাশে। হঠাৎ হয় ছন্দপতন। এক নিমেষে তরুণীর স্বপ্ন ভেঙে গেল।
হ্যাঁ, এবারে সেই স্বপ্নের ডানা কেটে দিতে তৎপর GRP, অর্থাৎ রেল পুলিশ। এদিন রেল পুলিশের লাঠির ঘায়ে ভাঙা পড়ল ‘MA English Chaiwali’-এর সাধের দোকান। এম এ পাশ মেয়ে চাকরি না করে শুধু মাত্র চায়ের দোকান দিয়ে বুঝিয়ে দেয় ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, আর বুদ্ধি থাকলে লক্ষ্মী আসে ঘরে। এই মুহূর্তে তার স্বপ্নের চায়ের দোকানে এসেছে লাঠির আঘাত। বুধবার ভেঙে দেওয়া হয় দোকান। এক্ষেত্রে, অনুমান এটি কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি।
আপনারা যারা এই তরুণীকে চেনেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলা – হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজ থেকে ইংলিশে স্নাতক হন এই তরুণী। এর পর রবীন্দ্রভারতী থেকে ইংলিশে স্নাতকোত্তর হন। তার নাম টুকটুকি দাস। পড়াশুনো শেষ করে স্বল্প মূলধন দিয়েই হাবড়া স্টেশনে দু নম্বর প্ল্যাটফর্মে চায়ের দোকান খোলেন টুকটুকি। রমরমিয়ে চলে সেই দোকান। প্রতিদিন ভিড় জমে দোকানের বাইরে। এমনিতেই বাংলার মানুষ সকাল সন্ধ্যা দুবেলা জল না পান করলেও চা সেবন করেন, তাই টুকটুকির চায়ের দোকানের ব্যবসা বেড়ে ওঠে।
সেই স্বপ্ন ভাঙতে শুরু করে। এক্ষেত্রে, রেলের কর্তৃপক্ষের দাবি, স্টেশনে নতুন করে কোন দোকান বসতে দেওয়া যাবে না। যে সমস্ত দোকান আগে থেকেই রয়েছে আপাতত সেগুলি থাকবে। এই ব্যাপারে, রেল আধিকারিকদের দাবী, হাবরা রেল স্টেশনে টুকটুকির একটি পুরনো চায়ের দোকান রয়েছে, সেটি অক্ষত আছে। ঐটি বাদ দিয়ে নিয়মবিরুদ্ধভাবে আবার একটি নতুন দোকান খুলেছিলেন তিনি। এবারে সেই নতুন দোকানটিই এদিন ভেঙে দেয় পুলিশ।