পয়লা জানুয়ারিতে কল্পতরু উৎসবকে ঘিরে ভক্তদের সমাগম ঘটে কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন মনের ইচ্ছা পূরণ করতে। বিগত কয়েক বছর ধরে করোনার অতিমারির কারণে এই দিন দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে দ্বার। ২০২০, ২০২১-এর পর আগামী বছর তথা ২০২২-এর পয়লা জানুয়ারিতেও খুলছে না কাশীপুর উদ্যানবাটির দরজা।
করোনা পরিস্থিতি তার ওপর দেশ জুড়ে ওমিক্রনের আতঙ্ক। এই সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করেই কাশীপুর উদ্যানবাটির তরফ থেকে এবারও কল্পতরু অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখানকার কতৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে সেই দিনের সমস্ত অনুষ্ঠান তথা পুজো দেখানোর হবে।
কাশীপুর উদ্যানবাটি হল ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের বাসভবন। সারদা দেবীর সঙ্গে মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই বসবাস করতেন। ১৮৮৬-র পয়লা জানুয়ারি রামকৃষ্ণ দেব ওই মঠের একটি গাছের তলায় কল্পতরু হয়েছিলেন। তারপর থেকেই প্রত্যেক বছর পয়লা জানুয়ারির দিন কাশীপুর উদ্যানবাটিতে কল্পতরু উৎসব পালন করা হয়। লক্ষাধিক ভক্তদের সমাগম ঘটে।আগের দিন রাত থেকে প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় জমান শুধু রামকৃষ্ণ দেবের আশীর্বাদ পেতে।এর পাশাপাশি চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নামগান।
২০২০-তে প্রথমবার দীর্ঘদিনের এই রীতিতে ছেদ পড়ে। করোনা সংক্রমণ রুখতে বন্ধ হয়ে যায় কল্পতরু অনুষ্ঠান।এই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল ২০২১-এও। ২০২২-এ মানুষ কিছুটা আশাবাদী হলেও নয়া আতঙ্ক ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতে আগামী বছরেও সামিল হওয়া যাবে না এই অনুষ্ঠানে। ফলে স্বভাবতই ভক্তদের মন খারাপ।দর্শক প্রবেশের পাশাপাশি সেদিন সমস্ত রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। শুধুমাত্র উদ্যানবাটির গর্ভগৃহে নিষ্ঠাপ সঙ্গে পূজার্চনা হবে। তবে কাশিপুর উদ্যানবাটির মিডিয়া ম্যানেজার স্বামী পরেশাত্মানন্দ জানিয়েছেন, ভক্তদের জন্য সোশ্যাল মাধ্যমে পুজো এবং অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।