স্প্যানিশ তারকা সার্জিও রামোসের কাছে লাল কার্ড যেন তার নিজের সম্পত্তি। বছরের শেষ ম্যাচে ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপেকে বাইরে রেখেই লরেন্তের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। আর এই ম্যাচ দিয়েই পিএসজি ক্যারিয়ারে লাল কার্ডের খাতা খুলেছেন তিনি।
লরেন্তের মাঠে খেলতে গিয়ে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল পিএসজি। তবে সে তুলনায় আক্রমণ করতে পারেনি তারা। দুই দলই গোলের জন্য সমান ১৭টি শট নেয়। যার মধ্যে লরেন্তের লক্ষ্যে ছিল ৫টি আর পিএসজি জাল বরাবর রাখতে পেরেছিল ৪টি শট। দুই দলই পেয়েছে সমান একটি করে গোল।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে মাউরো ইকার্দির গোলে হারতে বসা ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে তারা।
প্রথমার্ধেই একটি গোল পেয়ে যায় স্বাগতিক লরেন্তে। ম্যাচের ৪০ মিনিটের সময় সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল ছুঁয়ে দলকে এগিয়ে দেন লরেন্তের ফরাসি মিডফিল্ডার থমাস মনকনদুইত। এর আগে ২৬ মিনিটের সময় পোস্টে লেগে ফিরে আসে লিওনেল মেসির শট।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৮১ মিনিটের সময় পিএসজিতে যোগ দেবার পর প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন রামোস। এর মিনিট পাঁচেক পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ডের মাধ্যমে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পিএসজির জার্সিতে মাত্র তৃতীয় ম্যাচেই প্রথম লাল কার্ড দেখলেন তিনি। এর আগে সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২৬ বার লাল কার্ড দেখেছেন রামোস।
ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে দশজনের দলে পরিণত হলেও, ড্র করে মাঠ ছাড়ে পিএসজিকে। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দলকে ১ পয়েন্ট এনে দেওয়া গোলটি করেন আর্জেনটাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি। আশরাফ হাকিমির ক্রস থেকে হেড করে পিএসজির পরাজয় এড়ান এই ২৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
এই ম্যাচের পর ১৯ ম্যাচ শেষে পিএসজির সংগ্রহ ১৪ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে রয়েছে লরেন্তে। দুই নম্বরে থাকা নিসের ঝুলিতে রয়েছে ১৯ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট।