ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ২০ বছর বয়সের মধ্যে বিশ্বকাপ জিতে ফরাসি ফুটবলের ‘পোস্টার বয়’হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। বেশ কয়েক মাস ধরেই তার পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জন বাতাসে ভাসছে। তাকে দলে ভেড়াতে কয়েক দফা চেষ্টাও করে স্পেনিস ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ কিন্তু তাকে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইঁ ছাড়তে রাজি হয়নি।
এমবাপ্পেকে দলে রাখার জন্য দলে থাকা অন্য তারকা ফুটবলার মেসি, নেইমার থেকেও বেশি টাকা বেতনের প্রস্তাব করে পিএসজি।
সবাই মনে করেন মেসি-রোনালদোর পরে সিংহাসনের দায়িত্ব নেবেন এমবাপ্পে । তাছাড়া বর্তমানেও তিনি পিএসজিকে টানছেন। গত মৌসুমেও দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি। এ মৌসুমেও নেইমার মেসিকে নিজের আলো ছড়াচ্ছেন এমবাপ্পে।
অনেকে মনে করেনে এই মৌসুমে মেসি পিএসজিতে যোগ হওয়াতেই এমবাপ্পে দল ছাড়ার জন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে সম্প্রতি পিএসজি টিভিতে এমবাপ্পের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেখা গেলো তিনি নিজেই মেসির প্রশংসা করছেন।
সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পে বলেন, ‘যখন আপনার পাশে দারুণ খেলোয়াড় থাকবে সেটা সবসময় লাভজনক হয়। আমি এখন এমন একটা দলে খেলি যেখানে সহায়তা করার মতো নেইমার, মেসি, ডি মারিয়ার মতো খেলোয়াড় আছে। কখনো কখনো একটা স্ট্রাইকারের স্বভাব বল পেলেই শট করা। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে সবকিছু করতে হবে।’ তিনি আরো যোগ করে বলেন,‘মেসির মতো খেলোয়াড়, যে ১৫ বছর বার্সেলোনাতে কাটিয়েছে। সে এখানে এসে আলাদা জিনিস দেখাতে পারে। তাকে অনুশীলনে কিংবা টিভিতে দেখা আর বাস্তবে খেলতে দেখার মধ্যে তফাৎ আছে।’
এমবাপ্পের রিয়ালে যাওয়ার ইচ্ছার আরেকটা কারণ বলা হয় পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারা। এমবাপের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে ওই প্রসঙ্গও। তার কাছে এক মৌসুমে ৫০ গোলেরও কোনো মূল্য নেই দল শিরোপা না জিতলে। সবসময় দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পছন্দ করেন বলেও জানিয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
এমবাপ্পে বলেছেন, ‘গত বছরটা আমার জন্য ভালো গেছে। ৪০টার মতো গোল করেছি কিন্তু আমরা লিগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারিনি। দিনশেষে চিন্তা করলাম ৫০ গোল করে যদি কিছু জিততে না পারি তাহলে লাভটা কী? কম গোল করেও লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারাটাই আমার কাছে ভালো মনে হয়।’
এমবাপ্পে এই মুহূর্তে বিশ্বসেরাদের একজন। পিএসজিরও সেরা তারকাদের একজন তিনি, এ কারণে ভালো করার প্রত্যাশাটা সব সময়ই থাকে তাঁকে ঘিরে। এমবাপ্পে জানালেন ‘আমার চাপটা অনুভব করা দরকার। আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ খুঁজে বেড়াই। কাঁধে দায়িত্ব নিতে চাই। চাপ নিতে চাই যদি শেষে সেটা হতাশারও হয়। এটা শেখার বিষয়। আমি কখনও লুকাই না এটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটা পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।’