করোনার পঞ্চম ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করছে ফ্রান্স। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে জর্জরিত এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেশ। এর মধ্যেই সেখানে ১৩৩ জনের দেহে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফরাসি সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফ্রান্স ব্রিটেন থেকে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে। খবর রয়টার্সের।
গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের ইনফো রেডিওকে বলেন, ব্রিটেন থেকে ফ্রান্সে ফেরার পর ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখানোর নিয়ম জারি ছিল। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং খুব শিগগির আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) নিজেই ওমিক্রনে এক বক্তির মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্ক থাকলেও গ্যাব্রিয়েল বলেন, করোনা মোকাবিলায় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আনার এখনও পরিকল্পনা নেই। তবে ফ্রান্সের সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে কোভিডের বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইনের ওপর। যদিও সরকার পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে বলেও জানান তিনি।
ফ্রান্সে গত সাত দিন ধরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গড়মিল করে দিয়েছে চলমান হিসাবকে। সোমবার পর্যন্ত দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৮৭৯ জন, যা এক বছরের বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৪ হাজার ৫২৭ জন। গত ১৩ ডিসেম্বর একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ২৩১ জনের।
গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বপ্রথম করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। এরপরই বতসোয়ানা, হংকংসহ আরও বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে অতি সংক্রামক এই ধরন। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরনে আক্রান্তের খবর বিশ্ববাসীকে জানায়। এরপর একে একে ৩৮টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন।