কমবেশি সবাই-ই মাইগ্রেন সমস্যায় ভুগে থাকেন। এটি এমন এক ব্যথা, যার পুরোপুরি উপশমের পথ এখনও জানা নেই। কেবল যাদের এই সমস্যা আছে, তারাই বুঝতে পারবেন এর যন্ত্রণা সম্পর্কে। যখন এই ব্যাথা শুরু হয় তখন আর কোনো কাজই করা সম্ভব হয় না।
মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে মাথার দুই পাশে তীব্র যন্ত্রণা হতে থাকে। এই সমস্যাটা পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হতে দেখা যায়। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে এই ব্যাথা কমিয়ে আনা সম্ভব,পুরোপুরি না পারলেও। আর সেই নিয়মগুলো আপনি নিয়মিত মেনে চললে মাইগ্রেন ব্যাথা অনেকটাই কমে যাবে।
এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে মাইগ্রেন ব্যাথা থেকে আপনাকে কিছুটা দূরে রাখবে।
চলুন জেনে নেয়া যাকঃ
মাশরুমঃ মাশরুম সবজি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। সুস্বাদু এই সবজিতে আছে প্রচুর রিবোফ্লাবিন বা বি২। এই উপাদান আমাদের অন্ত্রের রোগ তো দূর করেই, সেই সঙ্গে কমায় মাথা ব্যথাও। অন্ত্রের সমস্যাও অনেক সময় মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। সেজন্য উচ্চ রিবোফ্লাবিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাশরুম, বাদাম ও ডিম শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়। এসব খাবার মাথা ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত্ কার্যকরী।
সবুজ শাক-সবজিঃ সবুজ শাক-সবজি এমনিতেই আমাদের শররের জন্য ভীষন দরকারি। কারণ এগুলো নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে। সেই সঙ্গে ঘাটতি মেটায় অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদানের। সেসব কারণ তো রয়েছেই, পাশাপাশি মাইগ্রেন কমানোর জন্যও আপনাকে সুবজ শাক-সবজি খেতে হবে নিয়মিত। বিশেষ করে আপনি যদি নিয়মিত পালং শাক, ব্রকোলির মতো নানা সবুজ শাক-সবজি খান তবে ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি এর ঘাটতি থাকবে না।
ডার্ক চকোলেটঃ চকোলেট খেতে কে না পছন্দ করেন! শিশু থেকে বৃদ্ধ- সব বয়সীদের কাছেই এটি খুব প্রিয় একটি খাবার। এই চকোলেট কিন্তু আমাদের শরীরের জন্যও উপকারী। তবে তা হতে হবে ডার্ক চকোলেট। অন্তত সত্তর শতাংশ যেন ডার্ক চকোলেট হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম। এটি মাইগ্রেন কমাতে বেশ সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কমায় মানসিক চাপও।
কলাঃ কলায় আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদান মাইগ্রেনের সঙ্গে লড়াই করতে আপনাকে সাহায্য করবে। এটি দ্রুত মাথা ব্যথা কমাতে কাজ করে। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণে সৃষ্ট মাথা ব্যথা থেকেও সুরক্ষা দেবে কলা। এতে আছে ৭৪ শতাংশ জল। তাই কলা খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। অনেক সময় শরীরে সৃষ্ট জল শূন্যতার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।