গত এক বছর ধরে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে বসে থাকা কৃষকদের। এবার সিংগু, টিকরি এবং গাজিপুর সীমান্তের কৃষকরা মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইউনাইটেড কিষাণ মোর্চার আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পরে। আজ শেষ রাত তাদের আন্দোলনের। সীমান্তের কৃষকরা তাদের বিজয় উপলক্ষ্যে আনন্দে মেতে উঠেছেন।
সিংগু সীমান্তে কৃষকরা গোটা শহর সাজিয়েছিল আন্দোলনের জন্য। বেশ কিছু সুবিধা এবং বাসস্থানও ছিল ট্র্যাক্টর ট্রলি দিয়ে সাজানো এই শহরে। কিন্তু তাঁবু খুলতে শুরু করা হয়েছে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরেই। এক বছরের সংগ্রামের পর কৃষকরা জিনিসপত্র গোছানো শুরু করেছে ফলাফল তাদের পক্ষে আসায়। তবে কৃষকদের মন বিষন্ন হয়ে উঠেছে সীমান্ত থেকে চলে যেতে হবে বলেও। প্রকৃতপক্ষে, কৃষকদের জন্য এখন তাদের দ্বিতীয় বাড়ির মতো হয়ে উঠেছে এই সীমান্ত।
১১ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় পাঞ্জাবের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন কৃষকরা। এরপর টিকরি সীমান্ত থেকে কৃষকরা পাটিয়ালা, মানসা হয়ে পাঞ্জাব যাবেন। কৃষকরা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে প্রার্থনা করবেন ১৩ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বরের পরে বিক্ষোভ বাতিল করা হবে সমস্ত টোল, মল এবং পেট্রোল পাম্পে। দিল্লি ও পাঞ্জাবের পথে কৃষকরা টোল প্লাজাতেও আন্দোলনে বসেছিলেন, তারাও বাড়িতে ফিরবেন।
কৃষকরা সোনেপত-কুন্ডলি সীমান্তে জাতীয় সড়ক-৪৪-এ তৈরি পাকা বাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। কৃষকেরা এসব পাকা ঘর তৈরি করেছিলেন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে। এই নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯ হাজার ইট। এই পাকা বাড়ি ভেঙে, তা স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ব্যবহার করা হবে আন্দোলনে নিহত কৃষকদের। কৃষকরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাজীপুর সীমান্তে ফেরার। আগামীকাল কৃষকরা ফিরতে শুরু করবে সেখান থেকেও। কৃষকরা আন্দোলনে অনড় ছিলেন এক বছর ধরে, তাই যাওয়া-আসা দিল্লির সীমান্ত দিয়ে, এবং এটি কোনো সংগ্রামের চেয়ে কম ছিলনা সাধারণ মানুষের কাছে।