Nurse Crisis: বিশ্বজুড়ে তীব্র নার্স সংকট, ওমিক্রন ছড়ানোর মুহূর্তে

Published By: Khabar India Online | Published On:

 কিছুদিন পরেই তৃতীয় বছরে পা রাখবে করোনাভাইরাস মহামারি। এই দুই বছরে একাধিকবার রূপ বদলেছে এই ভাইরাস, কেড়েছে অর্ধকোটির বেশি প্রাণ। এতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে সম্মুখসারির অন্যতম যোদ্ধা নার্সদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ১৫ হাজার নার্স মারা গেছেন। নানা সংকটে চাকরি ছাড়তে হয়েছে অনেককে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে নার্সের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব নার্সেস জানিয়েছে, বর্তমান বিশ্বে নার্সের সংখ্যায় মারাত্মক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। ধনীদের তুলনায় এমনিতেই দরিদ্র দেশগুলোতে নার্সের সংখ্যা কম। তার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অনুন্নত দেশগুলো থেকে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ডেকে নিয়ে নিয়োগ দিচ্ছে।

আরও পড়ুন -  Password Attacks: পাসওয়ার্ড অ্যাটাকের ঘটনা, বিশ্বে বাড়ছে

জেনেভাভিত্তিক গ্রুপটির প্রধান নির্বাহী হাওয়ার্ড ক্যাটন বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে অনেক নার্সই ভেঙে পড়েছেন এবং এক বছরের মধ্যে চাকরি ছাড়তে ইচ্ছুকদের হার দ্বিগুণ বেড়ে ২০-৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। মনে হয়, আমরা খাদের কিনারে রয়েছি… এ প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে দেশত্যাগের হিড়িক পড়তে পারে।

আরও পড়ুন -  ২২ জওয়ান শহিদ হল

ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব নার্সেস বিশ্বের ১৩০টি নার্সিং সংগঠনের ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি নার্সের প্রতিনিধিত্ব করে। এর সিইও আরও বলেন, আমি মনে করি, আগামী বছর সরকারগুলোকে তাদের নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট প্যাকেজ চালুর বিষয়ে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, এমনিতেই মহামারির আগে বিশ্বে ৬০ লাখ নার্সের ঘাটতি ছিল, তার ওপর আগামী কয়েক বছরে ৪৭ লাখ ৫০ হাজারের মতো নার্স অবসরে যাবেন।

আরও পড়ুন -  Expensive City: ব্যয়বহুল শহর তেল আবিব, বিশ্বে

জনসংখ্যার হিসাবে দরিদ্র দেশগুলোর তুলনায় ধনী দেশগুলোতে নার্সের সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেশি। এরপরও তারা নিজেদের হাসপাতালগুলোতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ফিলিপাইন ও ভারত বিদেশে সবচেয়ে বেশি নার্স পাঠিয়ে থাকে।

তাছাড়া, করোনায় যে এক লাখের মতো নার্সের মৃত্যুর কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এর প্রকৃত সংখ্যা দ্বিগুণ বলে ধারণা করা হয়। এ অবস্থায় প্রায় ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন করোনাভাইরাস নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

সূত্র: রয়টার্স