খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ক্ষেত্র ভারতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়ে রয়েছে। এই শিল্পক্ষেত্র ২০১১-১২ অর্থবছরে ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের উৎপাদন ও কৃষি খাতে যথাক্রমে ৯.৯ এবং ১১.৪ শতাংশ স্থূল মূল্য সংযোজন বা গ্রস ভ্যালু এডেড অর্জন করেছে।
তবে এই সেক্টরের মুখোমুখি কিছু মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সরবরাহ শৃংখল, পরিকাঠামোগত ফাঁক, প্রাতিষ্ঠানিক ফাঁক, প্রযুক্তিগত ফাঁক ছাড়াও প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে অবিরাম সংযোগের অভাব। সেইসঙ্গে ক্রেডিট প্রাপ্যতার ওপর ফাঁক। খসড়া জাতীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ নীতি ক্লাস্টারের প্রচারের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করে সেক্টরটিকে নিরবচ্ছিন্ন বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণ করে। বিভিন্ন মন্ত্রক এবং বিভাগের মাধ্যমে পরিষেবা গুলিকে একত্রিত করা প্রয়োজন। যদিও অসংগঠিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট গুলিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঋণের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে খসড়া নীতি তৈরির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-
১) সরবরাহ শৃংখলকে পরিকাঠামোগত ভাবে শক্তিশালী করা। বিশেষ করে পচনশীল পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা সমপ্রসারণের জন্য বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট গতিপথ অর্জন করা।
২) প্রযুক্তি আপগ্রেডেশন, গবেষণা ও উন্নয়ন, ব্র্যান্ডিং এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ভারতের ইউনিক সেলিং প্রপোজিশন বা ইউএসপি শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার উন্নতি বিধান।
৩) জল, শক্তির ব্যবহার, প্রক্রিয়াকরণ গুদামজাত করা, প্যাকেজিং অন্যান্য শিল্প ক্ষেত্র থেকে বর্জ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ করা।
এই খসড়া নীতি ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশ করা হয়েছে। তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগ রাজ্য সরকার এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। করোনা অতিমারির জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ গুলির মোকাবেলায় পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়েছে।
আজ রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল এই তথ্য জানিয়েছেন। সূত্রঃ পিআইবি