সিঙ্গাপুরের দুই বাসিন্দা করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। এরপরও তাদের শরীরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ২৪ বছর বয়সী বিমানবন্দরের এক নারী কর্মীর শরীরে ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এটি সর্বপ্রথম স্থানীয়ভাবে শনাক্তের খবর পাওয়া গেলো। আরেকজন গত ৬ ডিসেম্বর জার্মানি থেকে সিঙ্গাপুরে ফেরেন। তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তারা দুইজনই করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই নতুন ধরন উচ্চ সংক্রমণশীল এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সিঙ্গাপুরেও আরও শনাক্ত হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সিঙ্গাপুরে মোট জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন। যাদের বেশিরভাগই ফাইজার অথবা মডার্নার টিকা নিয়েছেন। দেশটির ২৯ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিগগির পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তাব আনা হবে।
চলতি সপ্তাহে ফাইজার-বায়োনএটেক টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, ফাইজারের বুস্টার ডোজ কাজ করবে ওমিক্রন মোকাবিলায়। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতির মাধ্যমে, ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা বলেন, টিকার তৃতীয় ডোজ দিয়েই এই নতুন ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, করোনা ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব করোনা টিকার প্রথম দুই ডোজ পুরোপুরি সম্পন্ন করে এবং তৃতীয় ডোজ নিলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
তবে ফাইজার ও বায়োএনটেক কোম্পানি, এই গবেষণার ফলকে প্রিলিমিনারি বলছে এবং তারা ওমিক্রন সম্পর্কিত আরও ডাটা সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে প্রকৃত চিত্র বোঝার জন্য।
সূত্র: ব্লুমবার্গ, এনডিটিভি