বিকৃত, বর্ণবাদী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী নেত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েন ডা. মুরাদ হাসান।সর্বশেষ চলচ্চিত্র অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে আলাপচারিতার ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে।
তবে মুরাদের কটূক্তির তালিকায় শুধু নায়িকা মাহিই নয়, কটূক্তির শিকার হয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা মৌসুমীও। তাও একবার নয়, দুইবার!
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন চলচ্চিত্রপ্রেমীরাও। তবে এটি সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি।
গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ‘স্বপ্নের রাজকুমার’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে মুরাদ হাসান বলেন, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ অসাধারণ একটি ছবি। সুপার-ডুপার হিট। মৌসুমী এখনও অভিনয় করছেন। সবই ভালো, শুধু ওয়েটটা কমাতে হবে। ফিল্মে যারা অভিনয় করবেন, তাদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, ওয়েটটার দিকে নজর রাখবেন।’
গত ৩০ নভেম্বর ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এর আগে মৌসুমীকে নিয়ে কথা বলেছিলাম। অনেকেই মাইন্ড করেছেন। মৌসুমীকে টার্গেট করে বলেছি, তা তো নয়। আমি সবাইকে বলেছি। একজন নায়িকার ওয়েট কন্ট্রোল করতে হবে। নায়িকার ভূমিকায় কেউ যদি এমন ‘মোটাসোটা’ হয়, এতে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়।’
এর আগে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিত্রনায়িকা মাহির সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁস হয়। অডিওতে শোনা যায়, তিনি মাহিকে উদ্দেশ্য করে ধর্ষণের হুমকি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে আসার ধমকি দেন।
অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর সচিবালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।