খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, সরকার বাণিজ্য নীতির সরলীকরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার মতামত ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আত্মনির্ভর ভারতের জন্য সহজে ব্যবসার বিষয়ে বণিকসভা সিআইআই’এর জাতীয় ডিজিটাল সম্মেলনে উদ্বোধন করে আজ একথা জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, খুব শীঘ্রই শিল্প স্থাপনের বিষয়ে অনুমোদনের জন্য এক জানলা ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হবে। এ জন্য তিনি শিল্পসংস্থা এবং সরকার উভয় পক্ষকেই একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। কর ফাঁকি ও লঙ্ঘনকারীদের শনাক্ত করতে সরকারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি শিল্প সংস্থাকে এগিয়ে আসতে বলেন।
কোভিড পরিস্থিতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। যে সমস্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা ছিল সাময়িক। এখন অনেক শিথিল করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে কোভিড সংকটের সময়েও ভারত বিশ্বব্যাপি গ্রাহকদের পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, গত বছর ভারতে এই সময় দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৮ শতাংশ এবং আমদানির পরিমান ছিল প্রায় ৭৫ শতাংশ। এ বছর এই একই সময় দেশে আমদানি ও রপ্তানীর পরিমাণ প্রায় একই রয়েছে। তিনি বলেন, ব্যবসা ক্ষেত্রে আবার উন্নতি লাভ করেছে। ভেন্টিলেটর রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা খুব শীঘ্রই প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শ্রম আইন সরলীকরণ, ভূমি ব্যাঙ্ক পোর্টাল চালু করা, বিনিয়োগে ছাড়পত্রের জন্য এক জানলা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করে চলেছে। শ্রী গোয়েল বলেন, রপ্তানী ক্ষেত্রে সমস্যা দূর করতে সরকার সুনির্দিষ্ট সমাধানের পথ খুঁজে বের করবে। এরজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে বিনিয়োগের জন্য সঠিক পথ খুঁজে বের করতে অর্থমন্ত্রক নিরন্তর প্রয়াস চালাচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলিকে সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট সরলীকরণ করা হবে। শিল্পের সহায়তার জন্য শ্রম আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা পরেছে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, ভারতে শিল্পের জন্য জমির সমস্যা রয়েছে এ বিষয়ে উদ্বেগ ভিত্তিহীন। কারণ ইতিমধ্যে কয়েক হাজার হেক্টর জমি সরকার চিহ্নিত করেছে। কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে এই জমিগুলি ‘ভূমি ব্যাঙ্ক’ পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। এ বিষয়ে ৬টি রাজ্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত এক জানলা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এতে দেশের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে গতি আসবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখা সম্ভবপর হবে। সূত্র – পিআইবি।