উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার মেয়ে টুকটুকি দাস এখন বাংলার বহু মেয়ের গর্ব। সারা দেশ জুড়ে সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। ইংরেজিতে স্নাতোকত্তর টুকটুকি হাবরা রেলস্টেশনের দু নম্বর প্ল্যাটফর্মে চায়ের দোকান খুলেছেন। দোকানেফ নাম ‘এম এ ইংলিশ চাইওয়ালি’। চা বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেছেন টুকটুকি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রমাণ করে দিয়েছেন, কোনও কাজই ছোটো নয়। এখন এই তরুণীর স্বপ্ন নিজের তৈরী এই ব্র্যান্ডটিকে বড় করে তোলা।
এদিকে চায়ের পাশে টা হিসেবে সিঙাড়ার জন্যেও ভিড় জমছে হাবড়ার এক চিলতে প্ল্যাটফর্ম-স্টলে। বঙ্গের এই লড়াকু মেয়েটির কাণ্ড বিশেষ আলোড়ন তুলেছে সমাজে। দিন যত যাচ্ছে ততই স্বাধীনচেতা টুকটুকির স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়াতে এগোচ্ছে। এবার এই সাহসী মেয়ের গল্প জেনের তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
এক সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “টুকটুকির জন্য আমি গর্বিত, আনন্দিত। ও একটা উদাহরণ হয়ে উঠেছে। টুকটুকি ব্র্যান্ড বানাতে চায়, ওর মধ্যে সেই ক্ষমতা আছে। সব কাজ এরকম শূন্য থেকেই শুরু হয়। টুকটুকি এমএ পাশ করেছে। ওর মধ্যে শিক্ষার আলো আছে, যা ওকে এই কাজে অনেক শক্তি দেবে। আমি বিশ্বাস করি যে অধ্যবসায় এবং বিশ্বাসের জোরেই তার ‘এম এ ইংলিশ চাইওয়ালি’ ব্র্যান্ড বড় হবে অনেক। টুকটুকিকে অন্তর থেকে ভালবাসা জানাই।” টুকটুকির মতো স্বাধীনচেতা মেয়েদের এই লড়াই তাঁকে বেশ আনন্দ দেয়। অভিনেত্রী মনে করেন অর্থের থেকেও বেশি প্রয়োজন ভেতরের ইচ্ছাশক্তির।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের শুভেচ্ছার কথা জানতে পেরে খুশিতে আপ্লুত টুকটুকি। টুকটুকিও জানিয়েছেন, “ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত! এরকম স্বপ্নের মানুষ তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলে একদিন নিজের স্বপ্ন ঠিক সফল হবেই। ম্যাডামের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। নতুন নিজস্ব দোকান খুলতে পারলে ম্যাডামকে আমন্ত্রণ জানাবেন”। আর এই দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন টুকটুকি। শুধু ঋতুপর্ণা নন, হাবরার বিধায়ক তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক টুকটুকির এই ব্যবসার কাজে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিধায়কেত কাছে চাকরি চাননি টুকটুকি বরং নিজের নিজস্ব বিপণি প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। মন্ত্রীর তরফে কলকাতা বা হাবরায় টুকটুকির জন্য দোকানঘরের সন্ধান চলছে।