রাজধানী সোফিয়ামুখী মহাসড়কে পর্যটকদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ার পর আগুন লেগে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাজ থেকে মঙ্গলবার বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় বসনেক গ্রামের কাছে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই উত্তর মেসিডোনিয়ার পর্যটক। এ ঘটনায় প্রাণ গেছে বেশ কয়েকটি শিশুরও।
বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিকোলাই নিকোলভ স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে জানান, নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। দগ্ধ সাতজনকে রাজধানী সোফিয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিকোলভ বলেন, একটি বাসে আগুন লেগে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়। পরে তার মন্ত্রণালয় এ সংখ্যা ৪৬-এ আপডেট করেছে।
বাসটিতে ৫৩ জন যাত্রী ছিলেন। সোফিয়ার এক হাসপাতাল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন ৭ জন জ্বলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন। তারা সবাই স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন।
উত্তর মেসিডোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুজার ওসমানি বলেছেন, কোচ দলটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ছুটির দিনে স্কোপজে ফিরছিলেন।
দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। তবে এ নিয়ে তদন্ত অব্যহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো শক্ত বস্তুতে আঘাত লেগে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে এবং আগুন লেগে যায়।
যে সড়কটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এক রিপোর্টের জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, বাসটিতে অন্তত ১২টি শিশু ছিল।
বাসটি সোমবার তুরস্ক থেকে যাত্রা শুরু করে। গভীর রাতে বাসটি বুলগেরিয়ায় প্রবেশ করেছিল।