১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের বক্তব্যেও উঠে এসেছিল ‘আমরা-ওরার’ কথা। এবার টি ২০ বিশ্বকাপে পড়শী দেশ পাকিস্তানের পরাজয়ের পর ফের নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অষ্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের হারের পর নন্দীগ্রামের মানুষও যে উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে তা এদিন৷ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ঘটা করে জানিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ দিলেন বিজেতা দল অষ্ট্রেলিয়াকে।
এবারের টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গ্রুপ লিগে ভারতের হয়ে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচেই ভারতকে পরাস্ত করে পাকিস্তান। এরপর গতকাল সেমিফাইনালে পাকিস্তানের পরাজয় হয় অষ্ট্রেলিয়ার কাছে। পাকিস্তান হেরেছে এটাই আনন্দের উৎস বিরোধী নেতার কাছে। পরশী দেশকে হারোনোর জন্য অষ্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই এদিন গেরুয়া শিবিরের এই নেতার গলায় উচ্ছ্বাসের সুর।
অষ্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশের এই পরাজয়ের পরই সোশাল মিডিয়ায় ভারতের ‘দেশদ্রোহী’দের উদ্দেশ্য করে একাংশকে কটাক্ষের সুরে লিখেছেন ,”দেশদ্রোহীদের জোর কা ঝটকা, পাকিস্তানের হারে ফাটছে পটকা। ভারত পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের হারে যারা পটকা ফাটিয়েছিল, উল্লাস করেছিল, আজ সেইসব দেশদ্রোহীদের জন্য কালো দিন। অষ্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের হার আজ তাদের মুখে ঝামা ঘসে দিল। অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট টিম কে অভিনন্দন।”
Heartiest congratulations to the Australian Cricket Team for defeating Pakistan. People of my Nandigram Assembly area have joined fellow Indians in celebrating this moment. The firecrackers just wont stop, as if it’s an extension of Diwali.
Thanks again for defeating our enemy.— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 11, 2021
শুভেন্দু অধিকারী টুইট বার্তায় আরো লিখেছেন, “পাকিস্তানের পরাজয়ের মুহূর্তটি দেশের অন্য অংশের সঙ্গে নন্দীগ্রামের মানুষও উদযাপন করছে। এখনও দীপাবলি চলছে। আতশবাজি থামবে না। আমাদের শত্রুকে পরাজিত করার জন্য আবারও ধন্যবাদ অষ্ট্রেলিয়াকে।”
নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিপক্ষ ছিলেন একসময়ের তাঁর একসময়ের অনুপ্রেরণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানটান সেই লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রচারের সময় সরাসরি বিভাজনের পথ বেছে নিয়েছিলেন। নিয়মিত নিজের প্রচারে সেই বার্তাই দিতেন। এমনকী নন্দীগ্রামে জয়ের পরও সেই পথেই অটল ছিলেন তিনি। গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে দু’দফায় শহিদ দিবসও পালন করা হয়েছে। গোকুলনগরে প্রথমে তৃণমূল ও পরে বিজেপি শহিদ দিবস পালন করে।