মঙ্গলবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়। আর বিধানসভায় শপথ নিলেন উপনির্বাচনে বিজয়ী চার প্রার্থী। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন চার নতুন বিধায়ক। আর এই দিনেই বিধানসভায় সাধারণ মানুষের বহু প্রতিক্ষিত দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সূচনার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চার বিধায়কের শপথ পাঠের পরে প্রথম বক্তব্য পেশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিধাসভার রীতি নিতি আবারো পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন যে সংসদীয় কার্যপ্রণালীকে ক্রমাগত ব্যাহত করছেন রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই চার নতুন বিধায়ককে কাজের শুরুতে অভিনন্দন জানান। এরপর বলেন যে শান্তিপূর্ণভাবে সব উৎসব উদযাপন হয়েছে রাজ্যে এবং বুধবার কোভিড বিধি মেনেই ছট পুজো পালন করা হবে।সবথেকে বড় ঘোষণাটি করেন তিনি। এরপরেই তিনি বলেন ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।
এই নতুন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে কম জলঘোলা হয়নি। এই নিয়ে বিতর্কের জল গড়িয়েছে এক্কেবারে আদালতের দুয়ারেও। ইতিমধ্যেই দুয়ারে রেশন-এর পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজোর আগেই বিশেষ কিছু অঞ্চলে এই প্রকল্পের সূচনা করেন রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এবং কী ভাবে একে আরও উন্নত করা সম্ভব সেই বিষয়ে সমস্ত পরীক্ষা চালিয়েছিল প্রশাসন। চলতি মাসের শুরুতে মমতা বলেছিলেন, “তাঁরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সবই চালু করেছি। ১৬ তারিখ থেকে দুয়ারে রেশন চালু হয়ে যাবে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষকবন্ধু প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও চালু করেছি”।
বিধানসভায় বক্তৃতা করার সময় আবারো এই নতুন প্রকল্পের বিষয়টিকে আরও এক বার নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, “দুয়ারে সরকার প্রকল্প সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের সেরা প্রকল্প হবে এই প্রকল্প। ইতিমধ্যে তিন কোটি মানুষ এই ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। ১৬ নভেম্বর থেকে ফের শুরু হবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। দুয়ারে রেশন প্রকল্পও শুরু হবে”। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে পাড়ায় পাড়ায় রেশন নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।ওই গাড়িতে করেই রেশন পৌঁছোবে বিভিন্ন পাড়ায়।