এ বছরই রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজন করা হয় বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন৷ এবার সেই সম্মেলনের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ মঙ্গলবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের শিল্প সম্মেলনকে সরাসরি আক্রমন করলেন।
এদিন নিজস্ব স্টাইলে বোমা ফাটিয়ে দিলীপ ঘোষ ভৎসনার সুরে বললেন, ‘‘এখানে কেউ বিনিযোগ করবে না। এখানকার শিল্পপতিরা অন্য রাজ্যে বিনিযোগ করে৷’’ নিজের একথার তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দিলীপ, ‘‘কারণ সবাই জানে এখানে সম্পত্তি ও অর্থের কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ তিনি এদিন আরো বললেন, ‘‘বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলন করে কি লাভ? গত দশ বছরের ক্লিপিংস দেখুন। সামনের সারিতে সেই এক লোক। এক বক্তা। এক বক্তব্য।’’
খানিক থেমে নিজস্ব স্টাইলে বোমা ফাটিয়েছেন দিলীপ, ‘‘এখানে কেউ বিনিযোগ করবে না।
এখানকার শিল্পপতিরা অন্য রাজ্যে বিনিযোগ করে৷’’ কেন একথা বলছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দিলীপ, ‘‘কারণ সবাই জানে এখানে সম্পত্তি ও অর্থের কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ একই সঙ্গে সামনে এনেছেন রাজ্য সরকারের রাজ্যের প্রধান এজেন্ডার বিষয়টিও৷ বলেছেন, ‘‘এরাজ্যে যেকোনও মূল্যে বিজেপিকে রুখতে হবে। এটাই হল এই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। সরকারের আর কোনও এজেন্ডা নেই। তাই আমরা যাই করতে যাই, তাতেই বাধা পাই।’’
তিনি রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জানেন কেন জ্বালানির দাম এই রাজ্যে এখনও বেশি এবং কার স্বার্থে বেশি? এরপর তিনি বলেন, দলের আগামী কর্মসূচিও৷ তারা মঙ্গলবার থেকেই জেলায় জেলায় মানুষকে এটা জানাতে এবং বোঝাতে শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, সোমবার একই ইস্যুতে বিজেপির জেলা অফিসের সামনে পেট্রালের দাম বৃদ্ধিতে বিক্ষভ কর্মসূচী পালন করেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের পর সদ্য শেষ হওয়া চার কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে বেশ ভালোভাবে ভরাডুবি হয়েছে পদ্মফুল শিবিরের। আবার কিছুদিনের মধ্যে চৌকাঠে কড়া নাড়ছে ভোট৷ এবার টার্গেট পুরসভার৷ কি হবে বিজেপির? এদিন দিলীপবাবুর সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘‘সর্বশক্তি দিয়েই পুরভোট লড়ব। কোনও মেয়র প্রজেক্ট নেই। ফলাফল দেখে আলোচনা হবে।’’