বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও রাজ্য সরকারের সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জির প্রয়াণে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, অনুগামী ও ভক্তদের প্রতি রইল আমার সমবেদনা। তাঁর আত্মা চিরশান্তি লাভ করুন। ওম শান্তি।’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী শোকবার্তায় বলেছেন, ‘সুব্রত মুখার্জি। আমাদের প্রিয় সুব্রতদার সঙ্গে গত ১ নভেম্বর কলকাতার পিজি হাসপাতালে দেখা করে এলাম। গল্প করলাম। সে আর নেই, ভাবতেই পারছি না। বাংলার কংগ্রেসের ত্রিমূর্তি–প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এক এক করে চলে গেলেন। একজন অসামান্য বিধায়ক, দক্ষ প্রশাসক, একজন হাসিখুশি, খোলামেলা অথচ বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের নাম সুব্রত মুখার্জি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষও শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি শোকবার্তায় বলেছেন, ‘সুব্রত মুখার্জির আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। যিনি একজন প্রবীণ নেতা, একজন সফল রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন মেয়র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’ প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে শোকবার্তায় বলা হয়েছে, ‘বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, রাজ্যের মন্ত্রী ও ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি সুব্রত মুখার্জির অকস্মাৎ প্রয়াণে আমরা শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু ও ভক্তদের প্রতি রইল সমবেদনা।’ জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের তরফেও সুব্রত মুখার্জির প্রয়াণে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রাক্তন সভাপতি আর নেই। তিনি একজন প্রকৃত শিক্ষক ও নেতা ছিলেন।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘দক্ষিণপন্থী রাজনীতির অনুসারী হলেও আমাদের মধ্যে আদর্শগত মতপার্থক্য ছিল।
ওঁর রাজনৈতিক জীবন সত্যিই ঈর্ষণীয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা ছিলেন, উনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। এমন দিনে তাঁর চলে যাওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন ঈশ্বর। সুব্রতদার আত্মার শান্তি কামনা করি।’ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সুব্রতা দার মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। প্রতিটা সহকর্মীর জন্য বড় ক্ষতি। এই ক্ষতি জীবনে পূরণ হবে না। মমতা ব্যানার্জিও ভেঙে পড়েছেন।’ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘এটা বড় ক্ষতি। বাংলা তথা ভারতীয় রাজনীতির বড় ক্ষতি। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। ছাত্র পরিষদ করার সময় ওঁর নেতৃত্বে কাজ করেছি।’ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘অপূরণীয় ক্ষতি। ওনার মতো মানুষ পাওয়া কঠিন। ছাত্র রাজনীতি থেকে বহু কঠিন লড়াই করেছেন। ভাল হয়ে উঠেছিলেন। তারপর এটা সাংঘাতিক খবর।
বিধানসভায় বসে হঠাৎ একটা কিছু নিয়ে মজা শুরু করতেন। রাজনীতির মতো কঠিন জায়গায় এমন মজার মানুষ হয় না।’ সাংসদ মালা রায় বলেন, ‘প্রিয়দা, সুব্রতদার হাত ধরে রাজনীতিতে আসি। ওনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। যখন মেয়র ছিলেন তখনও কাজ করেছি। তখন যে কাজ হয়েছে তার তুলনা হয় না। উনি যে দপ্তরে হাত দিয়েছেন, সেই দপ্তরই উন্নতি করেছে। মানসিকভাবে খুব কষ্ট হচ্ছে।’ শোকজ্ঞাপন করেছেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরাও। সুজন বলেছেন, প্রয়াত সুব্রত মুখার্জি। বাঙলার রাজনীতির এক বর্ণময় চরিত্র। রাজনীতির পুরনো ঘরানার মানুষ। মিশুকে, রসবোধ সম্পন্ন এক বিশিষ্ট নেতা। চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রেখে গেলেন অজস্র স্মৃতি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা। সকলের হৃদয় ভারাক্রান্ত, মিষ্টি মধুর সম্পর্ক ছিল সব রাজনৈতিক মহলে