সুমিত ঘোষ, মালদা: দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো শেষ। এগিয়ে আসছে জগদ্ধাত্রী ও কালীপুজো।
তাই নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই মালদা শহর সংলগ্ন কোতুয়ালির ধর্ম সাহার পরিবারের। আশেপাশের এলাকার মধ্যে তাঁরাই যে শোলা দিয়ে প্রতিমার সলমার সাজ তৈরি করেন! নবাবগঞ্জ হাট থেকে শোলার গাছ কিনে, সেই গাছ থেকে আঁশ ছাড়িয়ে, নিপুণ হাতের চালনায় তৈরি হয় প্রতিমার বিভিন্ন অলঙ্কার। এবারও তাঁদের হাতে অনেক কাজ। তবে বাজার বদলে গিয়েছে। খরচ বেড়েছে সবকিছুর। কিন্তু সেই অনুযায়ী অলঙ্কারের দাম বাড়েনি।
সেটাই আক্ষেপ ধর্মবাবুদের। তবু শিল্পসত্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁরা এখন ব্যস্ত প্রতিমার সলমার সাজ তৈরিতে।
মালদা ইংরেজবাজার শহর থেকে 5 কিলোমিটার দূরে কোতোয়ালি এলাকা ।
এখানে বসবাস করেন ধর্ম সাহা ও তার পরিবার। তিরিশ বছর ধরে সোলার কাজে যুক্ত ।করোনা , লকডাউন এর সময় থেকে তাদের ব্যবসার খুব ক্ষতি হয়েছে। অর্ডার তেমন ছিল না ।তবে এইবার কালি পুজোতে অর্ডার ভালো এসেছে ।সোলার শিল্পী ধর্ম শা হা জাহান যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কাজ করে সে মুনাফা টা ঠিক মতন আমরা পাইনা। যে জিনিসের দাম 10 টাকা ছিল সেই জিনিসের দাম কুড়ি টাকা হয়েছে । যে ভাবে পরিশ্রম করতে হয় সেভাবে লাভ হয় না। প্রতিবারই মতন কালি পুজোতে কাজ ভাল আমরা করি। শিল্পী ধর্ম সাহা জানান এতদিন থেকে তারা এই কাজের জড়িত কিন্তু তবুও তাদের কোনো রকম শিল্পীর পরিচয় হয়নি ।শিল্পী হিসেবে কোন ধরনের সরকারি সহযোগিতা পায়নি।
তাই সোলার শিল্পী ধর্ম সাহার দাবি সরকার জানো সোলার শিল্পীদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। কারণ এই কাজ করে সংসার চালানোর দায় হয়ে উঠেছে।