Forbidden: নিষিদ্ধ হল সমস্ত প্রকারের বাজি পোড়ানো

Published By: Khabar India Online | Published On:

কালীপুজো এবং দীপাবলি সহ চলতি বছরের যে-কোনো উৎসবে বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। সমস্ত প্রকারের বাজির উপরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।

বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে উপেক্ষা করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় আদালত। কার্যত এই পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করেই এই বছর কালীপুজোতে সমস্ত প্রকার বাজি পোড়ানোয় জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। একই সাথে চলতি বছরে ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো সহ অন্যান্য উৎসবেও পোড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন -  আত্মনির্ভর ভারতের জন্য সহজে ব্যবসার বিষয়ে বণিকসভা সিআইআই'এর জাতীয় ডিজিটাল সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন শ্রী পীযূষ গোয়েল

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়, এই বছরে শুধুমাত্র ‘গ্রিন’ বা পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি করতে পারবেন বাজি বিক্রেতারা। একই সাথে বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয় সেই নির্দেশিকায়। নির্দেশিকা অনুসারে, কালীপুজোয় রাত ৮টা-১০টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। এছাড়া ছটপুজোয় ২ ঘণ্টা এবং বড়দিন ও বর্ষবরণের রাতে ৩৫ মিনিট বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তবে শুক্রবার জারি করা কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার ফলে সমস্ত প্রকারের বাজিই এবার নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন -  লালকেল্লা থেকে বার্তায় মোদির গলায় আবারো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, চীন ও পাকিস্তানকে নতুন হুঁশিয়ারি

শুক্রবার আদালতের তরফে জানানো হয়, ‘পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার উপায় নেই পুলিশের। সেই পরিস্থিতিতে কোনও রকমের বাজি পোড়ানো যাবে না। বেঁচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার। বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে উপেক্ষা করা যায়’। এদিন বিচারপতি আরো জানান, ‘করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা আছে। সেই পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ানোর অনুমতি কীভাবে দেওয়া হয়? মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের জন্যই বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হচ্ছে। গত বছরও যে নিষেধাজ্ঞা ছিল। প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বেলেই কালীপুজো, ছটপুজো সহ যাবতীয় উৎসব পালন করতে হবে।

আরও পড়ুন -  Apple: আপেল খাচ্ছেন প্রত্যহ, প্রতিদিন আমাদের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী

উল্লেখ্য, গতকাল, বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফেও বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, আনন্দের মধ্যে আপনারা (বাজি প্রস্তুতকারীরা) নাগরিকদের জীবন নিয়ে খেলতে পারবেন না। আমরা কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নই। আমরা একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে চাই যে আমরা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য এখানে আছি।