ত্বকে বলিরেখা ঠেকাতে প্রয়োজন সঠিক যত্ন, খ্যাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম।
বয়সের ছাপ দূর করতে কিছু বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে, রাখতে হবে খেয়াল, করতে হবে ভালো কিছু অভ্যাস।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন প্রচুর শাক সবজি ও ফল ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে। গ্রিন টি এবং জলপাইয়ের তেল খাওয়া এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। ঘুম বয়সের ছাপ, দাগছোপ ও ত্বকের ভাঁজ কমায়। দৈনিক সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।
রূপচর্চার প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। ত্বককে পরিষ্কার করে, মসৃণ রাখে এবং ত্বকের সমস্যা দূর করে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। মিষ্টি খাবার, কোমল পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাতে বাড়ে ওজন ও চেহারাতে বয়সের ছাপ দেখা যাবে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান ওজন, বয়সের ছাপ ও কোলেস্টেরল বাড়ায়। অল্প বয়সে চেহারায় বয়সের ছাপ দূর করতে হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে চিকিৎসকেরা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।
ধুমপান পরিহার করতে হবে। ধূমপান দ্রুত ত্বকে বয়স্কভাব নিয়ে আসে। ফলে ত্বকে বলিরেখা, মলিন ভাব, ফোলাভাব ইত্যাদি দেখা দেয়।
সুস্থ থাকতে হলে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অল্প বয়সে চেহারায় বয়সের ছাপ দূর করতে পারে শরীরচর্চা। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বয়সের ছাপ কমাতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার সবচেয়ে ভালো উপায়। সূর্যালোক ত্বকের বয়সের ছাপ বাড়ায়, বলিরেখা ও অন্যান্য দাগকে স্পষ্ট করে তোলে। বয়সের ছাপ ধীর করতে এবং ত্বক সুস্থ রাখতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজারের বিকল্প নেই। ত্বকের ধরণ বুঝে উপযুক্ত একটি ময়েশ্চারাইজার প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা ও জলপাই তেল ত্বকের ক্ষয় কমায়, অক্সিজেনের সরবারহ বাড়ায় এবং বয়সের ছাপ দূর করে। তাই প্রতিদিন সঠিক পরিমানে অ্যালোভেরা, জলপাই তেল ও কালোজিরার তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। এইভাবে নিয়ম মেনে চলুন, তাহলে আপনি তরতাজা থাকবেন।